লকডাউনের ক্ষত এখনো কাটিয়ে উঠতে পারেনি মানুষ

লকডাউনের ক্ষত এখনো কাটিয়ে উঠতে পারেনি মানুষ

নিজস্ব প্রতিবেদক: সীমিত আয়ের মানুষ বা যাদের কম বেতন এক কথায় তারা সংকটে আছেন। বিশেষ করে প্রাইভেট সেক্টরে যারা চাকরি করছেন, তারা নানামুখী সমস্যায় ভুগছেন। সবচেয়ে বেশি বিপদে আছেন বেসরকারি খাতের কোনও প্রতিষ্ঠানে চাকরির ওপর নির্ভরশীলরা। এরই মধ্যে যাদের কম বেতন, তাদের অনেকেই চাকরি হারিয়েছেন। প্রতিষ্ঠিত কোম্পানি থেকেও অনেকে চাকরি হারিয়ে এলাকায় ফিরে গেছেন।

শুধু তাই নয়, বর্তমানে কম বেতনে চাকরি করা অনেকেই চাকরি হারানোর আতঙ্কে রয়েছেন। এ প্রসঙ্গে বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক ড .আহসান এইচ মনসুর বলেন, অনেকেই চাকরি হারিয়েছেন, অনেকেরই আয় কমে গেছে।

তিনি উল্লেখ করেন, বেশি বেতন পাওয়াদের মধ্যে যারা চাকরি হারিয়েছেন তাদের মধ্যে অনেকেই উদ্যোক্তা হয়েছেন। কিন্তু কম বেতনে চাকরি করতের যারা তারা উদ্যোক্তা হতে পারছেন না। ফলে তারা হয়ত এখন বেকার। তিনি বলেন, তুলনামূলকভাবে সরকারি কর্মচারী সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছে। কারণ সরকারি কর্মচারীদের বেতন কমেনি, বরং বেড়েছে।

এ প্রসঙ্গে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল চতুর্থ শ্রেণি কর্মচারী ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি এম এ খালেক বলেন, সবাই কম-বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে সরকারি কর্মচারীদের চেয়ে বেসরকারি কর্মচারীরা বেশি সমস্যায় পড়েছেন। তার মতে, সরকারি কর্মকর্তা- কর্মচারীদের মধ্যে চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীরা অনেক ক্ষেত্রে বঞ্চিত হয়েছেন।

রাজধানীর মানিক নগর এলাকার একটি ১০ তলা ভবনে দারোয়ানের চাকরি করেন জয়নাল হোসেন। তিনি বলেন, কয়েকজন ভাড়াটিয়া বাসা ছেড়ে দেওয়ার কারণে তাকে ভবনের বাসিন্দারা ঠিকমতো বেতন দেয়নি। এখন পর্যন্ত তার ২ মাসের বেতন বকেয়া পড়েছে।

ঢাকার একটি গার্মেন্ট কারখানা থেকে চাকরি হারানো পাবনার সোহেল রানা জানান, চাকরি হারিয়েই তিনি শুরু করেছেন মাছের ব্যবসা। ভোরে আড়ত থেকে মাছ কিনে এলাকার বাজারে বিক্রি করছেন।

ঢাকার আরেকটি গার্মেন্ট কারখানায় চাকরি করতেন মাসুদ রানা। লকডাউন চলাকালে বাড়িতে চলে আসার পর চাকরিটা আর ফিরে পাননি।