রোহিঙ্গা ফেরতে চীনের কাছে মিয়ানমারের অঙ্গীকার রয়েছে

রোহিঙ্গা ফেরতে চীনের কাছে মিয়ানমারের অঙ্গীকার রয়েছে

নিউজ ডেস্ক : রোহিঙ্গাদের ফেরত নিতে চীনের কাছে মিয়ানমারের রাজনৈতিক অঙ্গীকার রয়েছে বলে উল্লেখ করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. আবদুল মোমেন। বলেছেন, এ ব্যাপারে আলাপ-আলোচনা চালু থাকলেও প্রত্যাবর্তনের নির্দিষ্ট সময়ের কথা বলা যাচ্ছে না।

সোমবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ‘ঢাকা মিটিং অব দ্য গ্লোবাল কমিশন অন অ্যাডাপটেশন’ সম্মেলন উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। রাজধানী ঢাকায় মঙ্গল ও বুধবারের এ সম্মেলনে মার্শাল দ্বীপপুঞ্জের প্রেসিডেন্ট হিন্ডা হেইন, জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব বান কি মুন, বিশ্বব্যাংকের সিইও ক্রিস্টালিনা জর্জিওভাসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধি ও এদেশের বিশেষজ্ঞরা অংশ নেবে।

সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীর চীন সফরে দেশটির নীতিনির্ধারকরা রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে বাংলাদেশকে সহযোগিতার আশ্বাস দেয়ার কথা উল্লেখ করে ড. মোমেন বলেন, সুখের বিষয়, মিয়ানমারের ওপর গণচীনের যথেষ্ট প্রভাব আছে।

সেই চীন সরকার, সেদেশের প্রেসিডেন্ট, প্রধানমন্ত্রী, স্পিকার, অন্যান্য নেতারা সবাই আমাদের প্রধানমন্ত্রীকে বলেছে যে, তারা এ ব্যাপারে আমাদের সাহায্য করবে। মিয়ানমারের সঙ্গে তারা আলোচনা করে দেখেছেন যে রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেয়ার রাজনৈতিক অঙ্গীকার মিয়ানমারের রয়েছে। রোহিঙ্গা প্রত্যাবর্তনের দিনক্ষণ নিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা দিন তারিখ দিতে পারি না। কেননা আলোচনার মাধ্যমে এই প্রত্যাবর্তন হবে।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, জলবায়ুবিষয়ক দু’দিনের ঢাকা মিটিং অব দ্য গ্লোবাল কমিশন অন অ্যাডাপটেশন সম্মেলনের মূলপর্বের আগে আজ প্রথম দিন বিশেষজ্ঞরা জলবায়ু পরিবর্তন রোধে অভিযোজন নিয়ে আলোচনা করবেন। পরের দিন বুধবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্মেলনের উদ্বোধন করবেন।

জলবায়ুবিষয়ক প্যারিস চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্র সরে গেলেও চুক্তি কার্যকরে কোনো সমস্যা হবে না উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যুক্তরাষ্ট্র সরে যাওয়ায় এই প্রোগ্রাম বাধাগ্রস্ত হয়েছে, কিন্তু থেমে নেই। এবারের ঢাকা বৈঠকের সুপারিশগুলো চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে উপস্থাপন করা হবে বলে জানান তিনি।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, মার্শাল দ্বীপপুঞ্জের রাষ্ট্রপতি, জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব ও বিশ্বব্যাংকের সিইও এবং কমিশনাররা ১০ জুলাই কক্সবাজারের খুরুস্কুল আবাসন প্রকল্প পরিদর্শন করবে। সেখানে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে গৃহহীনদের সরকারিভাবে আবাসনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। পরে তারা কুতুপালংয়ে রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করবে।

সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী ছাড়াও বিদেশিদের সমন্বয়ে একটি প্রতিনিধি দল হেলিকপ্টারযোগে শরীয়তপুরের নড়িয়ায় নদী ভাঙন মোকাবেলায় নেয়া ব্যবস্থা পরিদর্শন করবে।

তিনি জানান, মার্শাল দ্বীপপুঞ্জের রাষ্ট্রপতি ও জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব আজ বাংলাদেশে আসবে ও ১১ জুলাই ঢাকা ত্যাগ করবেন। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়কমন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের (এসডিজিবিষয়ক) মুখ্য সমন্বয়ক আবুল কালাম আজাদ।