রিজার্ভ চুরির মামলায় হারলো বাংলাদেশ ব্যাংক

রিজার্ভ চুরির মামলায় হারলো বাংলাদেশ ব্যাংক

নিজস্ব প্রতিবেদক: রিজার্ভ চুরি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের আদালতে (ইউএস ডিস্ট্রিক্ট কোর্ট ফর দ্য সাউদার্ন ডিস্ট্রিক্ট অব নিউইয়র্ক) বাংলাদেশ ব্যাংক যে মামলাটি করেছিল, তা খারিজ হয়ে গেছে। মামলার বিবাদী প্রতিষ্ঠানগুলোর একটি ব্লুমবেরি রিসোর্ট করপোরেশন সোমবার ফিলিপাইনের পুঁজিবাজারে এ তথ্য প্রকাশ করেছে। প্রতিষ্ঠানটি ক্যাসিনো পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান ব্লুমবেরি রিসোর্ট অ্যান্ড হোটেলস ইনকরপোরেশনের মালিক।

বাংলাদেশ ব্যাংক ২০১৯ সালের ৩১ জানুয়ারি মামলাটি করেছিল। এতে ব্লুমবেরি ছাড়াও রিজাল কমার্শিয়াল ব্যাংকিং করপোরেশনসহ (আরসিবিসি) বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে আসামি করা হয়।

ব্লুমবেরি রিসোর্ট করপোরেশন ফিলিপাইনের শেয়ারবাজারে দেওয়া ঘোষণায় গত শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের সংশ্লিষ্ট আদালতের দেওয়া মতামত ও রায় উদ্ধৃত করে বলেছে, বাদীপক্ষ সংশ্লিষ্ট আইনের অধীনে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ প্রমাণ করতে ব্যর্থ হয়েছে। পাশাপাশি আদালত আর মামলাটি শুনবেন না বলেও ঘোষণায় উল্লেখ করে ব্লুমবেরি।

এ খবর জানিয়েছে সিএনএন ফিলিপাইন ও দেশটির ‘ইনকোয়েরার’ পত্রিকার অনলাইন সংস্করণ। বাংলাদেশ ব্যাংকের মামলায় অভিযোগ করা হয়েছিল, ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে নিউইয়র্কের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকে রক্ষিত বাংলাদেশ ব্যাংকের ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার অজ্ঞাতনামা হ্যাকাররা হাতিয়ে নেন। এই বিপুল পরিমাণ অর্থ চুরির সঙ্গে ফিলিপাইনের রিজাল কর্মাশিয়াল ব্যাংকিং করপোরেশনসহ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান ও এর শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তারা জড়িত।

বাংলাদেশ ব্যাংকের মামলার পর বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছিল, মামলায় বাংলাদেশের পক্ষ থেকে অভিযোগে বলা হয়, রিজাল ব্যাংকের শীর্ষ কয়েকজন কর্মকর্তা এই অর্থ চুরির জন্য কয়েক বছর ধরে ‘বড় ধরনের’ ‘জটিল ষড়যন্ত্র’ করে। বাংলাদেশ ব্যাংক দাবি করেছিল, অজ্ঞাতনামা উত্তর কোরীয় হ্যাকাররা এই চুরিতে সহায়তা করেছে। অর্থ চুরির পর তা নিউইয়র্ক সিটি ও ফিলিপাইনে আরসিবিসির অ্যাকাউন্টে স্থানান্তর করা হয়। পরে এই অর্থের বেশির ভাগ ফিলিপাইনের ক্যাসিনোর মাধ্যমে পাচার হয়ে যায়।

২০১৬ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি অর্থ চুরির ঘটনা ঘটলেও তা প্রকাশ পায় মার্চে। এ ঘটনায় বাংলাদেশ ব্যাংকের তৎকালীন গভর্নর আতিউর রহমানকে পদত্যাগ করতে হয়। দুই ডেপুটি গভর্নরকেও সরিয়ে দেয় সরকার। ঘটনা তদন্তে সাবেক গভর্নর মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিনকে প্রধান করে কমিটি করে সরকার। কমিটি প্রতিবেদন জমা দিলেও তা প্রকাশ করা হয়নি।