রাজনীতিশূন্য করতে মিথ্যা মামলা: ফখরুল

ঢাকা: দেশকে রাজনীতিশূন্য করতে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ বিরোধী দলের জ্যেষ্ঠ নেতা ও বিভিন্ন পেশাজীবীদের একের পর এক মিথ্যা মামলায় জড়ানো হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে আয়োজিত এক আলোচনায় তিনি এ অভিযোগ করেন। মঙ্গলবার রাজধানীর ফটোজার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন মিলনায়তনে ন্যাশনাল পিপলস পার্টি (এনপিপি) এ আলোচনা সভার আয়োজন করে।
মির্জা ফখরুল ইসলাস আলমগীর বলেন, দেশে যেমন গণতন্ত্র নেই, তেমনি নেই মত প্রকাশের স্বাধীনতা। আর যেখানে গণতান্ত্রিক রাজনীতির সুযোগ থাকে না সেখানে উগ্র ও জঙ্গিবাদী মতবাদ মাথা চাড়া দেয়।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব বলেন, ‘‘খালেদা জিয়ার নামে যে মামলা হয়, মাহমুদুর রহমানকে যে আজকে আবার ভিত্তিহীন মামলায় শ্যোন অ্যারেস্ট দেখানো হয় তিন বছর পর বা আমাদের রাজনৈতিক নেতাদের নামে শত শত মামলা দেয়া হয়- এসবই একই সূত্রে গাঁথা। সূত্রটি হচ্ছে, তারা (বর্তমান সরকার) এখান থেকে রাজনীতিকে দূর করে দিয়ে, তথাকথিত উন্নয়নের নামে একটি একদলীয় শাসনব্যবস্থা ও কর্তৃত্ববাদ প্রতিষ্ঠিত করতে চায়।”

মির্জা ফখরুণ ইসলাম আরো বলেন, মানুষের মত প্রকাশের অধিকারসহ গণতান্ত্রিক সব অধিকার কেড়ে নিয়ে কাগুজে উন্নয়নের কথা বলে ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারবে না সরকার। আন্তর্জাতিকভাবেও সরকারকে কর্তৃত্ববাদী হিসেবে আখ্যায়িত করা হচ্ছে বলে জানান বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব।

‘‘অন্যদের কথা বাদই দিলাম, কয়েকদিন আগে ভারতের প্রখ্যাত সাংবাদিক কুলদীপ নায়ার খুব পরিষ্কার করে বলেছেন, (বর্তমান সরকার) তারা যে কর্তৃত্ববাদী সরকার পরিচালনা করছে, শাসনব্যবস্থা পরিচালনা করছে, সেটা শুধু বাংলাদেশে উগ্রবাদের জন্ম দেবে, জঙ্গিবাদের জন্ম দেবে, বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে অনেক দূরে ঠেলে দেবে। একই মন্তব্য করেছেন মার্কিন গোয়েন্দা বাহিনীর প্রধান তাদের কংগ্রেসের শুনানির সময়। তাদের জনপ্রতিনিধিদের সামনে তিনি বলেছেন, বাংলাদেশের সরকার ক্রমশই কর্তৃত্ব পরায়ণ হয়ে উঠছে।’’

গণতন্ত্র, মত প্রকাশে স্বাধীনতা, সুশাসন ফিরিয়ে আনতে রাজনৈতিক নেতাকর্মীসহ দেশের সচেতন মানুষকে ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলন গড়ে তুলার আহ্বন জানান মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।