‘রমজানে দাম নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই’

ঢাকা: পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, ‘আমাদের প্রতিনিয়ত মূল্যস্ফীতি কমছে।

এ হারে কমতে থাকলে রমজানে পণ্যের মূল্য নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। কনজাম্পশন (ভোগ) বাড়লেও মূল্যস্ফীতি বাড়বে না। দাম নিয়ন্ত্রণের মধ্যে থাকবে।’

তিনি আরো বলেন, এপ্রিল মাসে সার্বিক মূল্যস্ফীতি পয়েন্ট টু পয়েন্ট ভিত্তিতে কমে দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ৬১ শতাংশে। মার্চ মাসে এটি ছিল ৫ দশমিক ৬৫ শতাংশ। খাদ্যপণ্যেও মূল্যস্ফীতি কমে দাঁড়িয়েছে ৩ দশমিক ৮৪ শতাংশে, যা তার আগের মাসে ছিল ৩ দশমিক ৮৯ শতাংশ। খাদ্যবহির্ভূত পণ্যে মূল্যস্ফীতি কমে দাঁড়িয়েছে ৮ দশমিক ৩৪ শতাংশে, যা মার্চ মাসে ছিল ৮ দশমিক ৩৬ শতাংশ।

মঙ্গলবার রাজধানীর শেরে বাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর মাসিক হালনাগাদ তথ্য প্রকাশ করেন পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। এ সময় তিনি এ কথা বলেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব কানিজ ফাতেমা এবং পরিকল্পনা সচিব তারিক-উল–ইসলাম।

পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, গত বছরের এপ্রিলে মূল্যস্ফীতি ছিল ৬ দশমিক ৩২ শতাংশ। তিনি বলেন, গত মাসে চালের দাম কমেছে, এজন্য মূল্যস্ফীতিও কমেছে।

মূল্যস্ফীতির হার পর্যালোচনা করে দেখা যায়, এপ্রিল মাসে গ্রামে সার্বিক মূল্যস্ফীতি পয়েন্ট টু পয়েন্ট ভিত্তিতে কমে দাঁড়িয়েছে ৪ দশমিক ৭৫ শতাংশে, যা তার আগের মাসে ছিল ৪ দশমিক ৭৯ শতাংশ। খাদ্যপণ্যেও মূল্যস্ফীতি কমে দাঁড়িয়েছে ৩ দশমিক ১১ শতাংশে, যা তার আগের মাসে ছিল ৩ দশমিক ১৫ শতাংশ।

খাদ্যবহির্ভূত পণ্যেও মূল্যস্ফীতি কমে দাঁড়িয়েছে ৭ দশমিক ৮০ শতাংশে, যা তার আগের মাসে ছিল ৭ দশমিক ৮২ শতাংশ।

শহরে সার্বিক মূল্যস্ফীতি পয়েন্ট টু পয়েন্ট ভিত্তিতে কমে দাঁড়িয়েছে ৭ দশমিক ২২ শতাংশে, যা তার আগের মাসে ছিল ৭ দশমিক ২৭ শতাংশ। খাদ্যপণ্যে মূল্যস্ফীতি কমে দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ৫১ শতাংশে, যা তার আগের মাসে ছিল ৫ দশমিক ৬১ শতাংশ। খাদ্যবহির্ভূত পণ্যে মূল্যস্ফীতি কমে দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ১১ শতাংশে, যা তার আগের মাসে ছিল ৯ দশমিক ১২ শতাংশ।