রফতানির বাজার আরও প্রসারিত করার উদ্যোগ নিচ্ছে সরকার : খাদ্যমন্ত্রী

নিউজ নাইন২৪ডটকম, ঢাকা : খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেছেন, বাংলাদেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের পাশাপাশি বিদেশে চাল রফতানি করছে। রফতানির বাজার আরও প্রসারিত করার উদ্যোগ নিচ্ছে সরকার।

বুধবার বেলা ১১ টায় রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক কনভেনশন সেন্টারে আয়োজিত ‘ফুড এন্ড এগ্রো বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল – ২০১৬ এবং এগ্রো ক্যাম বাংলাদেশ’ এর চার দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক প্রদর্শনী’র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।

‘বিশ্ব বাজারে বাংলাদেশ চাল উৎপাদনে ৪র্থ পর্যায়ে উল্লেখ করে তিনি বলেন, দেশে যখন সাড়ে ৭ কোটি মানুষ ছিল তখন চাল আমদানি করা হতো, এখন ১৬ কোটির জনসংখ্যার এ দেশে খাদ্য স্বয়সম্পূর্ণতার পর চাল রফতানি করার সক্ষমতা অর্জন করেছে বাংলাদেশ।
বর্তমানে মিঠা পানির মাছ ও শাকসবজি রফতানী করে বাংলাদেশ প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা আনছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, তৈরি পোশাক ও প্রবাসীদের পাঠানো অর্থের পাশাপাশি এ খাত থেকেও বৈদেশিক মুদ্রা আসছে ।

মন্ত্রী বলেন, পণ্যের গুণগতমান নিশ্চিত ও সঠিক প্রক্রিয়াজাতকরণ নিশ্চিত করতে পারলে দেশে ও বিদেশে পণ্যের বাজার ধরে রাখা সম্ভব হবে। এ ধরনের প্রদর্শনী দেশে ও বাইরে ভোক্তা ও উদ্যোক্তার মধ্যে কার্যকরী ভূমিকা রাখবে।

তিনি বলেন,দেশে খাদ্য নিরাপত্তা আইন ২০১৩ প্রণয়ন করা হয়েছে। এর কার্যক্রম শিগগিরই শুরু হবে। এসময় তিনি সরকারি উদ্যোক্তাদের পাশাপাশি বেসরকারি উদ্যোক্তাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে দেশ এগিয়ে যাবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তৃতা করেন,সেমস এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও গ্রপ ম্যানেজিং ডিরেক্টার মেহেরুন এন ইসলাম।

আন্তর্জাতিক আয়োজক সংস্থা, কনফারেন্স এন্ড এক্সিবিশন ম্যানেজমেন্ট সার্ভিসেস লিমিটেড-সেমস গ্লোবাল আয়োজিত এই প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন, ঢাকা চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্টিজের ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট হুমায়ুন রশিদ, বাংলাদেশ ফ্রুটস, ভেজিটেবলস এন্ড এ্যলাইড প্রোডাক্টস এক্সপার্টর্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন এবং আমেরিকান চেম্বার অব কর্মাস ইন বাংলাদেশ এর ভাইস প্রেসিডেন্ট শওকত আলী সরকার।
এ প্রদর্শনী চলবে ২৬ মার্চ পর্যন্ত। প্রতিদিন সকাল সাড়ে ১০ টা থেকে রাত সাড়ে আটটা পর্যন্ত সকলের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।

প্রদর্শনীতে বাংলাদেশ ছাড়াও ভারত, জর্ডান, চীন, জাপান, জার্মানী, মালয়শিয়াসহ বিভিন্ন দেশ থেকে প্রায় ২৫০ টি দেশী ও বিদেশী প্রদর্শকগণ অংশগ্রহণ করেন। এ প্রদর্শনীতে খাদ্যপণ্য, পানীয়, কৃষিজাত পণ্য, পোল্ট্রি পণ্য, বিভিন্ন ধরনের কৃষি উপকরণ, কৃষি প্রক্রিয়াজাতকরণ মেশিনারিজ, রাসায়নিক উপকরণসহ বিভিন্ন ধরনের প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি প্রদর্শন এবং বিপণনের ব্যবস্থা করা হয়েছে।