যুক্তরাষ্ট্রে মৃত্যু লাখ ছাড়াতে পারে, স্বীকার করলো ট্রাম্প

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্রে করোনায় প্রাণহানি এক লাখ কিংবা তারও বেশি হতে পারে বলে প্রথমবারের মতো স্বীকার করেছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। রোববার হোয়াইট হাউসে এক সংবাদ সম্মেলনে এই শঙ্কার কথা জানায় ট্রাম্প।

দেশটিতে করোনার হাত থেকে বাঁচতে সামাজিক দূরত্ব ও ফেডারেল করোনাভাইরাস গাইডলাইনের মেয়াদ আগামী ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে বলে জানিয়েছে ট্রাম্প। এর আগে মধ্য-এপ্রিলে ইস্টারের আগে দেশজুড়ে যে বিধি-নিষেধ আরোপ করা হয়েছে; তা শিথিল করা হতে পারে বলে আভাষ দিয়েছিলো ট্রাম্প।

ট্রাম্প বলেছে, আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে করোনায় সর্বোচ্চ মৃত্যুহারে পৌঁছাবে যুক্তরাষ্ট্র। করোনার সর্বোচ্চ বিস্তারের সময় দেশটির হাসপাতালগুলোতে লোকজনের ঠাই পাওয়া কঠিন হতে পারে বলে আশঙ্কা করছে অনেকে।

জন হপকিনস বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বলছে, দেশটিতে গতকাল পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে ১ লাখ ৪২ হাজার ৭৩৫ এবং মারা গেছে অন্তত ২ হাজার ৪৯৩ জন।

এর আগে, রোববার মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের ‘স্টেট অব দ্য ইউনিয়ন’ টকশোতে অংশ নিয়ে দেশটির এক বিশেষজ্ঞ এবং ইনস্টিটিউটের প্রধান ডা. অ্যান্থনি ফসি বলেছে, করোনায় আক্রান্ত হয়ে যুক্তরাষ্ট্রে অন্তত এক থেকে দুই লাখ লোক মারা যেতে পারে। আক্রান্ত হতে পারে আরও কয়েক মিলিয়ন।

সিএনএনের সঙ্গে আলাপকালে অ্যান্থনি ফসি বলেছে, আমি বলবো করোনায় যুক্তরাষ্ট্রে এক লাখ থেকে দুই লাখ লোক মারা যাবে। আমরা মিলিয়ন মিলিয়ন রোগী পেতে যাচ্ছি। তবে আমি এই হিসাব-নিকেশে আটকে থাকতে চাই না। কারণ এটি এখন চলমান। এটি সত্যও হতে পারে আবার ভুল প্রমাণিতও হতে পারে।

করোনা মোকাবিলায় যথাযথ ব্যবস্থা না নেয়া হলে যুক্তরাষ্ট্রে ২২ লাখ লোকের প্রাণহানি ঘটতে পারে বলে গত ১৬ মার্চ লন্ডনের ইম্পেরিয়াল কলেজের বিজ্ঞানীরা যে সতর্কবার্তা দিয়েছে সেব্যাপারে ট্রাম্প বলেছে, আমরা সম্মিলিতভাবে যদি খুব ভালোভাবে কাজ করতে পারি তাহলে এই মৃত্যুর সংখ্যা এক লাখের আশপাশে থাকবে।

এদিকে ট্রাম্প বলেছে, করোনা ভাইরাসের কারণে মৃতের সংখ্যা এক লাখের বেশি বাড়তে না দিলেই তার প্রশাসন ‘খুব ভালো কাজ করেছে’ বলে প্রমাণ হবে।

গতকাল এ তথ্য জানায় আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম ‘দ্য গার্ডিয়ান।’

হোয়াইট হাউস রোজ গার্ডেনে দেওয়া এক বক্তব্যে ট্রাম্প বলেছে, ‘করোনায় আক্রান্ত হয়ে যুক্তরাষ্ট্রে মৃতের সংখ্যা লাখ ছাড়াতে পারে। সেটা যদি এক লাখ বা তার নিচে রাখা যায়, তাহলে বোঝা যাবে আমরা সবাই মিলে খুব ভালো কাজ করতে পেরেছি।’