যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান আমি বুঝি না: জাসিন্ডা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্রে বারবারই বন্দুক হামলার ঘটনা ঘটলেও যুক্তরাষ্ট্র কেন এখনও কঠোর অস্ত্র আইন তৈরি করছে না তা কিছুতেই ‘বোধগম্য নয়’ বলে মন্তব্য করেছেন নিউ জিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জাসিন্ডা আর্ডার্ন। মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনকে দেওয়া সাক্ষাতকারে তিনি বলেন, ‘অস্ট্রেলিয়া হামলার শিকার হয়ে আইন পরিবর্তন করেছে। নিউজিল্যান্ড অভিজ্ঞতা থেকে আইন পরিবর্তন করেছে। কিন্তু সত্যি বলতে কি, যুক্তরাষ্ট্রের ব্যাপারটা আমি বুঝি না।’

যুক্তরাষ্ট্রে বছরে ৩০ হাজারেরও বেশি মানুষ গুলিবিদ্ধ হয়ে প্রাণ হারায়। এ নিয়ে প্রায় সময় বিদ্যমান অস্ত্র আইন এবং অস্ত্র বিক্রেতা ও রাজনীতিকদের মধ্যকার সম্পর্ক নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। নির্বিচার গুলির ঘটনা রুখতে শিক্ষকদের কাছে অস্ত্র রাখার প্রস্তাবের পক্ষে জনসমর্থন আদায়ের প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে শক্তিশালী অস্ত্র সমর্থক গ্রুপ ন্যাশনাল রাইফেল অ্যাসোসিয়েশন (এনআরএ)।

অন্যদিকে গত ১৫ মার্চ ২৮ বছর বয়সী অস্ট্রেলীয় নাগরিক ব্রেন্টন ট্যারান্ট নামের সন্দেহভাজন হামলাকারীর লক্ষ্যবস্তু হয় নিউ জিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চের দু’টি মসজিদ। শহরের হাগলি পার্কমুখী সড়ক ডিনস এভিনিউয়ের আল নুর মসজিদসহ লিনউডের আরেকটি মসজিদে তার তাণ্ডবের বলি হয় অর্ধশত মুসলিম। হামলা চালাতে একটি এআর-১৫-সহ কয়েকটি আধা-স্বয়ংক্রিয় রাইফেল ব্যবহার করেছিল ট্যারান্ট। এ ঘটনার পর নিউ জিল্যান্ডে আধা স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র ও অ্যাসল্ট রাইফেল নিষিদ্ধ করার ঘোষণা দেন সে দেশের প্রধানমন্ত্রী জাসিন্ডা আরডার্ন। অন্য অস্ত্রকে আধা স্বয়ংক্রিয় অস্ত্রে পরিণত করতে যেসব যন্ত্র ব্যবহার করা হয় সেগুলোও নিষিদ্ধ করা হবে বলে জানান তিনি। ঘোষণা দেন বিদ্যমান অস্ত্র আইন পরিবর্তনের। এরই ধারাবাহিকতায় নিউ জিল্যান্ডের পার্লামেন্টে পাস হয় অস্ত্র সংস্কার বিল।