মোবাইল লেনদেনই এখন ভরসা

মোবাইল লেনদেনই এখন ভরসা

নিজস্ব প্রতিবেদক: অনেকেরই এ সময়ে অর্থ লেনদেনের প্রধান ভরসা মোবাইল ব্যাংকিং। মানুষ বিশেষ প্রয়োজনে লেনদেন সারছে মোবাইলে। তাৎক্ষণিকভাবে দ্রুত শহর কিংবা গ্রামে, গ্রাম থেকে শহর সর্বত্রই টাকা পাঠানোর সুবিধার কারণে দেশে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের জনপ্রিয়তা বাড়ছে।

এদিকে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে গ্রাহকের কাছে মোবাইলের লেনদেন আরোও জনপ্রিয় করতে বিশেষ ছাড় দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
মোবাইল ফিন্যানশিয়াল সার্ভিস (এমএফএস) বা মোবাইল ব্যাংকিংয়ে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি ও ওষুধ ক্রয়ে কোনো ধরনের চার্জ না কাটার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। ব্যক্তি হতে ব্যক্তি (পি-টু-পি) লেনদেনে (যেকোনো চ্যানেলে) এ নির্দেশনা মানতে হবে। একইসঙ্গে লেনদেন সীমা ৭৫ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ২ লাখ টাকা করা হয়েছে। এছাড়া দৈনিক এক হাজার টাকা ক্যাশ আউট সম্পূর্ণ চার্জবিহীন রাখতে বলা হয়েছে।

সাজ্জাদ নামের মোবাইলে ব্যাংকিংয়ের সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানের এজেন্ট জানান, আগে মোবাইলে এক হাজার টাকা পাঠালে খরচ হিসাবে ২০ টাকা বেশি দিত। কিন্তু গত এক সপ্তাহ ধরে ১০০০ টাকা পাঠালে খরচ দিতে হয় না। কোম্পানিও চার্জ কাটে না। লেনদেন বাড়ছে কিনা জানতে চাইলে সাজ্জাদ জানান, মানুষ কমে গেছে। সবসময় দোকান খোলা রাখতে দেয় না। তবে যতটুকু সময় খোলা থাকে লেনদেন ভালোই হচ্ছে।

মোবাইল ব্যাংকিংয়ে লেনদেন কেমন হচ্ছে জানতে চাইলে এমএফএস সেবা দানকারী প্রতিষ্ঠান বিকাশের হেড অব কর্পোরেট কমিউনিকেশন অ্যান্ড পিআর শামসুদ্দিন হায়দার ডালিম বলেন, শপিংমল, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সব বন্ধ। ব্যাংকের লেনদেনও সীমিত করা হয়েছে। এ সময়ে যখন দেশের বেশিরভাগ অর্থনৈতিক কার্যক্রম বন্ধ হয়ে আছে। তখন মোবাইল ব্যাংকিংয়ে গ্রাহকরা আমাদের উপর আস্থা রাখছেন। শুধু বিকাশে দৈনিক গড়ে ৫৭ থেকে ৫৮ লাখ বার লেনদেন হচ্ছে। স্বাভাবিক সময় ৬৫ থেকে ৭০ লাখ বার লেনদেন হয়। এতে বোঝা যাচ্ছে সব কিছু বন্ধ থাকার পরও মোবাইল ব্যাংকিংয়ে লেনদেন ভালো হচ্ছে। অর্থাৎ বলা যায় অর্থনৈতিক লেনদেনের বড় একটা অংশ মোবাইল ব্যাংকিংয়ে সম্পূর্ণ হচ্ছে। গ্রাহক আমাদের প্রতি আস্থা রেখেছেন এটাই তার প্রমাণ।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সব ধরনের নির্দেশনা বিকাশ পরিপালন করছে উল্লেখ করে প্রতিষ্ঠানটির এ কর্মকর্তা জানান, দৈনিক এক হাজার টাকা ক্যাশ আউটে কোনো চার্জ কাটা হচ্ছে না। কল সেন্টারের সার্ভিস চালু আছে। এজেন্টদের নিয়মিত নগদ ও ইলেক্ট্রনিক মানি সরবারহ করা হচ্ছে। এছাড়া অন্যান্য সুবিধাসহ সব ধরনের সেবা চালু রয়েছে বলে জানান তিনি।