মোবাইল ফোনের সম্পূরক শুল্ক ১৫ শতাংশই বহাল

মোবাইল ফোনের সম্পূরক শুল্ক ১৫ শতাংশই বহাল

নিজস্ব প্রতিবেদক: ২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেটে মোবাইল ফোনে কথা বলাসহ অন্যান্য সেবার ওপর সম্পূরক শুল্ক ১০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপের প্রস্তাব দিয়েছিলেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।

তবে চলতি লকডাউনের সময় সাধারণ জনগণের জীবন-যাপন যখন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে, তখন বাজেটে বাড়তি করারোপ করায় ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়ে সরকার। এসব সমালোচনার পরিপ্রেক্ষিতে পরিকল্পনামন্ত্রীসহ জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা- এ বিষয়টি পুনর্বিবেচনা হতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। কিন্তু গ্রাহকের দাবি উপেক্ষা করে প্রস্তাবিত ১৫ শতাংশ শুল্কই বহাল রাখা হয়েছে।

এর আগে, গত ১১ জুন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল ২০২০-২১ অর্থবছরের জন্য পাঁচ লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকার বাজেটের সঙ্গে অর্থবিল ২০২০ জাতীয় সংসদে উপস্থাপন করেছিলেন। সোমবার স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অর্থমন্ত্রী অর্থবিল পাসের প্রস্তাব করলে তা কণ্ঠভোটে পাস হয়। আজ মঙ্গলবার পাস হবে মূল বাজেট। ১ জুলাই বুধবার থেকে শুরু হবে নতুন অর্থবছরের বাজেট বাস্তবায়ন।

নিয়ম অনুযায়ী, গত ১১ জুন জাতীয় সংসদে বাজেট প্রস্তাবের পরপরই তা কার্যকরও হয়ে গেছে। কিন্তু বাড়তি সম্পূরক শুল্ক আরোপ করায় গ্রাহক পর্যায়ে তীব্র সমালোচনা হয়। পরের দিন অর্থাৎ ১২ জুন বাজেটোত্তর সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে কোনো জবাব দেননি অর্থমন্ত্রী। তবে একই সংবাদ সম্মেলনে সেদিন এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা রহমাতুল মুনিম বলেছিলেন, আমাদের দেশের মানুষ অকারণে বেশি কথা বলেন। যে পরিমাণ কর বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়, তাতে দশমিক ৫ শতাংশ খরচ বাড়বে। এতে জনজীবনে তেমন প্রভাব পড়বে না। তার এমন বক্তব্যে সারা দেশে সমালোচনার ঝড় ওঠে।

সূত্র জানায়, বাজেট প্রস্তাবের সঙ্গে সঙ্গেই সব ধরনের সম্পূরক শুল্ক কার্যকর হয়ে যায়। ফলে মোবাইল ফোনে কথা বলা, খুদে বার্তাসহ অন্যান্য সেবায় ১৫ শতাংশ ভ্যাট, এক শতাংশ সারচার্জ, ১৫ শতাংশ প্রস্তাবিত সম্পূরক শুল্ক গ্রাহক পর্যায়ে আরোপ করা হয়। সবমিলিয়ে এখন ১০০ টাকা রিচার্জ করলে সরকার পায় ২৫ টাকা। ফলে গ্রাহকের ব্যবহার করতে পারেন ৭৫ টাকা। বাড়তি শুল্ক আরোপ করায় গ্রাহকের ক্রয়ক্ষমতা কমেছে ৩ টাকা।