‘মুসলিম গণহত্যা’ তদন্তের আহ্বান নির্বাসিত চীনা মুসলিমদের

‘মুসলিম গণহত্যা’ তদন্তের আহ্বান নির্বাসিত চীনা মুসলিমদের

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: চীনা উইঘুর মুসলিমদের উপর চালানো গণহত্যা ও মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ সংঘটনের দায়ে চীনা প্রেসিডেন্ট জিনপিংসহ জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে তদন্তের জন্য আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে নির্বাসিত উইঘুর মুসলিমদের দুইটি সংগঠন। এরইমধ্যে অপরাধ আদালতে নিজেদের অভিযোগের পক্ষে প্রমাণ জমা দিয়েছে তারা। গত সোমবার (৬ জুলাই) তাদের পক্ষে লন্ডনের আইনজীবীরা আলামত জমা দেয়।

বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম ও মানবাধিকার সংগঠন এরইমধ্যে আলামত হাজির করতে সমর্থ হয়েছে যে; চীনের পশ্চিমাঞ্চলীয় জিনজিয়াং প্রদেশে উইঘুর, তার্কিক মুসলিমসহ বিভিন্ন গোত্রের মুসলমানদের ক্যাম্পে আটক রেখে নির্যাতন করা হয়। আন্তর্জাতিক মহলের আশঙ্কা, সেখানে ১০ লাখেরও বেশি মুসলিমকে বন্দিশিবিরে আটকে রাখা হয়েছে।

গত সোমবার (৬ জুলাই) অপরাধ আদালতে ইস্ট তুর্কিস্তান গভর্নমেন্ট ইন এক্সাইল এবং ইস্ট তুর্কিস্তান ন্যাশনাল অ্যাওয়েকিং মুভমেন্ট এর পক্ষ থেকে উইঘুরদের ওপর চীনের নির্যাতনের দলিল উপস্থাপন করা হয়। সেখানে অভিযোগ করা হয়, উইঘুর মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষকে তাজিকিস্তান ও কম্বোডিয়া থেকে বেআইনিভাবে জিনজিয়ানে বিতাড়িত করা হয়েছে। জিনজিয়ানে তাদেরকে কারাবন্দি করা হচ্ছে, নির্যাতন করা হচ্ছে। এমনকি জোর করে তাদেরকে দিয়ে জন্ম নিয়ন্ত্রণ, গর্ভনিরোধ করানো হচ্ছে, ইচ্ছের বিরুদ্ধে বিয়ে করতে বাধ্য করা হচ্ছে তাদেরকে।

আইনজীবীদের দাবি, উইঘুরদের বিরুদ্ধে যেসব অপরাধ সংঘটিত হয়েছে, তার আংশিক হয়েছে কম্বোডিয়া ও তাজিকিস্তানে। আর এ দুই দেশ অপরাধ আদালতের সদস্য। আর তাই চীন সদস্য দেশ না হলেও এ মামলায় হস্তক্ষেপের এখতিয়ার আইসিসির আছে।
২০১৮ ও ২০১৯ সালে আইসিসির নেওয়া সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে এ যুক্তি দেখিয়েছেন আইনজীবীরা।তখন আইসিসির সিদ্ধান্তে বলা হয়েছিল, মিয়ানমার সদস্য দেশ না হলেও রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে অপরাধ সংঘটনের দায়ে দেশটির কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে বিচারকাজ চালানোর এখতিয়ার আছে অপরাধ আদালতের। কারণ রোহিঙ্গারা মিয়ানমার থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে এবং বাংলাদেশ রোম স্ট্যাচুতে স্বাক্ষরকারী দেশ।