মারজিয়া হাশেমিকে অপহরণ করেছে: ড. পেইমান জেবেলি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক :ইরানের জাতীয় সম্প্রচার সংস্থা আইআরআইবি’র বিশ্ব কার্যক্রমের প্রধান ড. পেইমান জেবেলি বলেছেন, আমেরিকা প্রেস টিভির সাংবাদিক ও উপস্থাপক মারজিয়া হাশেমিকে অপহরণ করেছে বলে গণ্য করা হচ্ছে। তেহরানের জাতিসংঘ দফতরের সামনে আজ (বুধবার) আইআরআইবি এবং বিশ্ব কার্যক্রম আয়োজিত শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি একথা বলেন।

জেবেলি বলেন, ১১ দিন হলো আমাদের সহকর্মী মারজিয়া হাশেমিকে আমেরিকায় অবৈধভাবে আটক রাখা হয়েছে। আমেরিকার এ আচরণ মেনে নেয়া যায় না। মারজিয়া হাশেমির মাধ্যমে আমেরিকা, ইরানের ওপর নতুন করে চাপ সৃষ্টির যে চেষ্টা করছে তা গ্রহণযোগ্য নয় বলেও জানান তিনি।

বিক্ষোভে দেয়া বক্তব্যে ড. জেবেলি অবিলম্বে মারজিয়া হাশেমির মুক্তিও দাবি করেন। এ ছাড়া, মার্কিন অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা সংস্থা এফবিআই’র হাতে বন্দি মারজিয়ার ওপর নির্যাতন, তার হিজাব জোর করে খুলে নেয়া এবং ইসলামে নিষিদ্ধ শুকুরের মাংস খেতে বাধ্য করার তীব্র নিন্দা জানান তিনি।

বিক্ষোভে শ্লোগান দিচ্ছেন আইআরআইবি বিশ্ব কার্যক্রমের জনসংযাগ বিভাগের প্রধান খনমে ইসলামি
প্রতিবাদ বিক্ষোভ শেষে প্রেস টিভির প্রধান ড. পেইমান জেবেলি জাতিসংঘের প্রতিনিধির কাছে প্রতিবাদপত্র পেশ করেন।

বিক্ষোভে অংশগ্রহণকারীর মধ্যে অন্যতম ছিলেন ইরানের সেন্টার ফর আমেরিকান স্ট্র্যাটেজির প্রধান ফুয়াদ ইজ্জতি। তিনি বলেন, আমেরিকায় বিরাজমান বর্ণবৈষম্যের সমালোচনা করায় হাশেমিকে আটক করা হয়েছে।তিনি বলেন, আমেরিকার সক্ষমতা থাকলে সিরিয়ার ইরানের জেনারেলদের মোকাবেলা করুক। কেন ৫৯ বছর বয়সী নানীমা বা দাদীমাকে আটক করেছেন- মার্কিন প্রশাসনের প্রতি এ প্রশ্ন তোলেন তিনি।

এক, সাক্ষাৎকারে তিনি প্রথমে ‘কেমন আছেন ভালো আছেন’ এ বাক্য দিয়ে শুরু করেন। ইংরেজিতে দেয়া সাক্ষাৎকার শেষ করেন আমেরিকার অবস্থা খারাপ বলে।

আমেরিকায় জন্মগ্রহণকারী ৫৯ বছর বয়সি সাংবাদিক মারজিয়া হাশেমি তরুণ বয়সে ইসলাম গ্রহণ করেন। তিনি একজন ইরানি নাগরিকের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে গত কয়েক দশক ধরে ইরানে বসবাস করছিলেন। গত রোববার আমেরিকার সেন্ট লুইস ল্যাম্বার্ট আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে তাকে আটক করা হয়। তিনি নিজের অসুস্থ ভাই ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যের সঙ্গে সাক্ষাতের উদ্দেশ্যে আমেরিকায় গিয়েছিলেন।

সূএ:পার্সটুডে