ভেজাল মেশানোর সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদন্ডের দাবি

তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার আইনের খসড়া অনুমোদন

নিজস্ব প্রতিবেদক : ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনের আওতায় খাদ্যে ভেজাল মেশানোর সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদ- করার আহ্বান জানিয়েছে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন প্রজন্ম সমাজকল্যাণ সংস্থা। শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এ মানববন্ধন হয়।

বক্তারা বলেন, বাংলাদেশের হাজারও সমস্যার মধ্যে অন্যতম প্রধান সমস্যা হলো খাদ্যে ভেজাল। খাদ্যে ভেজাল আজ আমাদের জাতীয় জীবনে এক মহাদুর্যোগের নাম। অথচ মানুষের সুস্বাস্থ্য ও বেঁচে থাকার জন্য পুষ্টিকর খাবার অতি জরুরি। ফলে বাংলার মাটি থেকে খাদ্যে জীবনসংহারী ভেজাল মেশায় যারা। তাদের দূর করতে হবে। এর বিরুদ্ধে সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। মানুষের মধ্যে নানান ভীতি থাকায় এর বিরুদ্ধে সচেতন কোনো প্রতিরোধ গড়ে ওঠেনি। এতে করে দিন দিন খাদ্যে রাসায়নিক মেশানোর অশুভ প্রতিযোগিতা বেড়েই চলেছে। কিন্তু এর বদলে আইনের মাধ্যমে খাদ্যে ভেজালকারীদের প্রতিরোধ করতে হবে, নয়তো আমাদের ধ্বংস অনিবার্য।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, আমরা পুরো জাতিকে খাদ্যে ভেজালের মরণ থাবা থেকে বাঁচাতে লড়াই শুরু করেছি। আপনারা আপনাদের সন্তানদের জীবন নিরাপদ ও সুস্থ রাখতে আমাদেন সঙ্গে যোগ দিন। আমরা খাদ্যে ভেজালকারীদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেবো। দেশবাসীর কাছে আমার প্রার্থনা আপনারা খাদ্যে ভেজালকারীদের বিরুদ্ধে আইনি লড়াই শুরু করুন। আপনাদের আমরা যথাসাধ্য সাহায্য করবো। প্রধানমন্ত্রীর কাছে আকুল আবেদন ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনের আওতায় এনে জাতির শত্রু খাদ্যে ভেজালকারীদের সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদ-ের বিধান করুন।

ঢাকা আইনজীবী সমিতির সাবেক ট্রেজারার খন্দকার গোলাম কিবরিয়া বলেন, বর্তমানে খাদ্যে ভেজাল অসহনীয় পর্যায়ে চলে গেছে। ফলে বাংলাদেশের মানুষকে কিডনি রোগ, ক্যান্সারসহ নানাবিধ মরণব্যাধি থেকে রক্ষা করতে হলে খাদ্যে ভেজালের বিরুদ্ধে আমাদের সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলার কোনো বিকল্প নেই। আজকের এ মানববন্ধন থেকে আমরা প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করছি এবং দেমবাসভর কাছে আবেদন করবো, আমরা খাদ্যে ভেজালবিরোধী যুদ্ধ শুরু করেছি, আপনারাও এগিয়ে আসুন।