ভিকারুননিসায় আবারো ভর্তি বাণিজ্যের অভিযোগ

ভিকারুননিসায় আবারো ভর্তি বাণিজ্যের অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক : মামলাজনিত কারণে দীর্ঘ ছয় মাস স্থগিত থাকার পর আবারো ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজে শিক্ষার্থী ভর্তি কার্যক্রম শুরু হয়েছে। ২০২০ শিক্ষাবর্ষে দ্বিতীয় থেকে নবম শ্রেণির ভর্তি পরীক্ষা ফলাফল প্রকাশ করে এক মাসের মধ্যে ভর্তি কার্যক্রম শেষ করা হবে। তবে নতুন করে ভর্তি বাণিজ্যের অভিযোগ তুলেছেন অভিভাবকরা।

জানা যায়, ২০২০ শিক্ষাবর্ষে প্রথম শ্রেণির ভর্তির কার্যক্রম শেষ করা হলেও দ্বিতীয় থেকে নবম শ্রেণির ভর্তি পরীক্ষা কার্যক্রম স্থগিত হয়ে যায়। আদালতের নির্দেশনা থাকায় এ কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। তবে চলতি বছরের সকল ভর্তি কার্যক্রম এক মাসের মধ্যে শেষ করতে আদালত নির্দেশনা দিয়েছেন। তার ভিত্তিতে ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বোর্ড থেকে অনুমোদন নিয়ে শিক্ষার্থী ভর্তি কার্যক্রম শুরু করেছে ভিকারুননিসা।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি সূত্রে জানা যায়, দ্বিতীয় থেকে নবম শ্রেণিতে প্রায় ৯ শতাধিক শিক্ষার্থী ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। তবে ভর্তি পরীক্ষা শেষ হলেও গত ছয় মাস প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় ফলাফল প্রকাশ করা হয়নি।

বর্তমানে আদালতের নির্দেশনা পাওয়ায় ফলাফল প্রকাশের কাজ শুরু করা হয়েছে। তবে এ ভর্তি নিয়ে নতুন করে বাণিজ্য শুরু হয়েছে বলে অভিযোগ তোলা হয়েছে।

অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গভর্নিং বডি (জিবি) সদস্যদের কেউ কেউ ভর্তি করিয়ে দেয়ার নামে অভিভাবকদের সঙ্গে বিভিন্ন মাধ্যমে যোগাযোগ করে অর্থ আদায় করছেন। এ বাবদ দুই থেকে চার লাখ টাকা আদায় করা হচ্ছে। অনেক অগ্রিম অর্থ নিচ্ছেন, ভর্তির পর বাকি টাকা দিতে বলা হচ্ছে।

এ বিষয়ে ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অভিভাবক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আবদুল মজিদ সুজন বলেন, ‘তড়িঘড়ি করে আদালত থেকে নির্দেশনা নিয়ে এসে কর্তৃপক্ষ শিক্ষার্থী ভর্তি কার্যক্রম শুরু করেছে। এই সুযোগে কয়েকজন জিবির সদস্য ১০ থেকে ১৫ জন করে ভর্তি কোটা নিয়ে ২-৪ লাখ টাকার চুক্তিতে ভর্তি করানোর নিশ্চয়তা দিয়ে অভিভাবকদের কাছ থেকে টাকা নিচ্ছেন।’

তিনি বলেন, ভিকারুননিসায় দীর্ঘদিনের ভর্তি বাণিজ্যের কেলেঙ্কারি রয়েছে। অধ্যক্ষের সহায়তায় জিবি সদস্যদের কোটার নামে এ বাণিজ্য করা হচ্ছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ফৌজিয়া বুধবার (১৪ অক্টোবর) রাতে  বলেন, ‘আদালতের নির্দেশনা পাওয়ার পর আমরা ঢাকা শিক্ষা বোর্ড থেকে অনুমোদন নিয়ে স্থগিত ভর্তি কার্যক্রম শুরু করেছি। বর্তমানে খাতা মূল্যায়ন করে ফলাফল প্রকাশের কাজ চলছে। আগামী এক মাসের মধ্যে বাকি কাজ শেষ করা হবে।’

ভর্তি বাণিজ্য বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এটি একটি মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্য, ভর্তি বাণিজ্য করার কোনো সুযোগ নেই। যারা ভালো নম্বর পাবে তাদের ভর্তি করা হবে। এর বাইরে কোটা বা তদবির করে কাউকে ভর্তি করানো হবে না।’