বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের জন্য প্রতিরক্ষা খাত খুলে দিচ্ছে পাকিস্তান

বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের জন্য প্রতিরক্ষা খাত খুলে দিচ্ছে পাকিস্তান

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: পাকিস্তান তার প্রতিরক্ষা উৎপাদন গতিশীল করার লক্ষ্যে এই খাতকে বেসরকারি উদ্যোক্তাদের জন্য খুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। নতুন প্রতিরক্ষা উৎপাদন ও সমতাবিধানের নীতির আলোকে এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে বলে সূত্র জানিয়েছে।

সূত্র জানিয়েছে, তুরস্কের কাছ থেকে পাকিস্তান সহায়তা চেয়েছে। উল্লেখ্য, তুরস্ক বর্তমানে প্রতিরক্ষা সেক্টরে বিনিয়োগের জন্য মধ্যপ্রাচ্য ব্লকে উদীয়মান শক্তির মর্যাদা পাওয়ার চেষ্টা করছে।

সূত্রটি জানায়, দেশীয় প্রতিরক্ষা নির্মাণ বাড়ানোর লক্ষ্যে পাকিস্তান সরকার নতুন প্রতিরক্ষা উৎপাদন নীতি প্রণয়ন করেছে। তারা প্রতিরক্ষা সমতাবিধান নীতিও প্রস্তুত করছে। প্রাথমিক প্রতিরক্ষা সমতাবিধান নীতি প্রণীত হয়েছিল ২০১৪ সালে।

এতে আরো বলা হয়, নতুন নীতি প্রতিরক্ষা গবেষণা, উন্নয়ন ও ম্যানুফেকচারিং শিল্পে বেসরকারি বিনিয়োগকে স্বাগত জানাবে। এছাড়া রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানগুলোকে আরো বেশি স্বায়ত্তশাসন দেয়ার চিন্তা করা হচ্ছে।

সূত্র জানায়, পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা উৎপাদন মন্ত্রণালয় আরো দক্ষ ও বিশ্বাসযোগ্য হিসেবে নিজেকে গড়ে তোলার জন্য ভেতর থেকেই পুনর্গঠিত হচ্ছে।

সূত্র জানায়, পাকিস্তান প্রতিরক্ষা খাতে বিদেশের ওপর নির্ভরতা হ্রাস করতে চায়, রাজস্ব সৃষ্টি করতে চায়, চাকরির সুযোগ বাড়তে চায়। বেসরকারি সেক্টরগুলোকে প্রতিরক্ষা ম্যানুফেকচারিং খাতে সুযোগ দেয়া হবে।

পাকিস্তান এই খাতে বিপুল বিনিয়োগের পরিকল্পনাও করছে।

প্রতিরক্ষা উৎপাদনে ইসলামাবাদকে সহায়তা করার জন্য আঙ্কারা পাকিস্তানের অস্ত্র কারখানার সাথে চুক্তি করছে। তারা অনির্দিষ্ট সংখ্যক রাইফেল, এসএমজি (সাবমেশিন গান)-পিকে, এমপি-৫ অ্যাসাল্ট রাইফেল ও জি৩এস অ্যাসাল্ট রাইফেল সরবরাহ করবে।

চলতি বছরের প্রথম দিকে তুর্কি প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যিপ এরদোগান দুই দিনের সফরে পাকিস্তান যান। তার লক্ষ্য ছিল প্রায় প্রতিটি খাতেই দুই দেশের অংশীদারিত্ব জোরদার করা। এরদোগানের সাথে থাকা তুর্কি প্রতিনিধি দলে ছিলেন বিনিয়োগকারী, শিল্প করপোরেট প্রধান, ব্যবসায়ী ও মন্ত্রী। ওই সফরের সময় তিনি জম্মু ও কাশ্মীরে ভারতের ভূমিকার সমালোচনা করেন।