বিধিনিষেধের ক্ষতি: পচে গেছে হাজার টন আদা ও রসুন

বিধিনিষেধের ক্ষতি: পচে গেছে হাজার টন আদা ও রসুন

চট্টগ্রাম সংবাদাদাতা: বৃহত্তম পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জের আড়তে পচে গেছে আমদানি করা আদা ও রসুন। ব্যবসায়ীরা বলছেন, প্রায় এক হাজার বস্তার মতো আদা ও রসুন পচে গেছে। সরকারী বিধিনিষেধের কারণে এভাবেই সারা দেশের হাজার হাজার টন পণ্য-দ্রব্য পচে-গলে নষ্ট হয়ে গেছে।

মঙ্গলবার চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জের হামিদুল্লাহ মিঞা মার্কেট কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইদ্রিস বলেন, ঈদ উপলক্ষে ব্যবসায়ীরা প্রচুর মালামাল এনেছিল। ঈদের পরপরই আবার লকডাউন শুরু হয়ে গেছে। ফলে বাজারে ক্রেতা আসতে পারেনি। কাঁচামাল হওয়ায় আদা, রসুন পচে যাচ্ছে। এতে বিশাল ক্ষতির মুখে পড়েছেন খাতুনগঞ্জের ব্যবসায়ীরা। প্রত্যেক আড়ৎ ও গুদামে একই অবস্থা। অনেকে পচে যাওয়া আদা, রসুন ফেলে দিচ্ছেন।

সরেজমিন দুপুরে খাতুনগঞ্জের পেঁয়াজ, আদা, রসুনের মার্কেট ঘুরে দেখা গেছে বেশ কয়েকটি আড়তের সামনে পচা আদার বস্তা ফেলে রাখা হয়েছে। এছাড়া আড়তের ভেতরেও বস্তায় পচা আদা ও রসুন দেখা গেছে।

মেসার্স ইদ্রিছ সওদাগর আড়তে দেখা যায় চীন থেকে আনা রসুনের বস্তায় রসুন পচে গেছে। আড়তের মালিক ইদ্রিছ বলেন, ঈদের আগেই রসুনগুলো এনেছিলাম আমদানিকারক থেকে। ঈদের ছুটি ও লকডাউনের কারণে মালগুলো বিক্রি করতে পারিনি। ফলে অনেক রসুন ফেলে দিতে হয়েছে। আমার কাছ থেকে যারা রসুন নিয়েছিলেন তাদেরও রসুন নষ্ট হওয়ায় ফেলে দিতে হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, গোডাউনে এখনও যেসব বস্তায় রসুন আছে সেগুলোর কেউ দাম বলছে না। এগুলোও ফেলে দিতে হবে। যার থেকে মাল ক্রয় করেছিলাম তাকে দেখানোর জন্য রসুনের বস্তা রেখেছি। ১৪০০ বস্তা রসুনের মধ্যে ৭০০ বস্তা ফেলে দিতে হয়েছে বলেও জানান এ ব্যবসায়ী।

আল মারুফা বাণিজ্যালায়ের মোহাম্মদ জাকির বলেন, গোডাউনে আদা ছিল, কিন্তু কেনার মতো কেউ ছিল না, তাই আদা পচে গেছে। আদা প্রায় ১০০ বস্তার মতো পচে গেছে। কিছু ফেলে দিয়েছি, বাকিগুলোও ফেলে দিতে হবে।

মেসার্স ইবতেহাজ ট্রেডার্সের পরিচালক মোহাম্মদ নুরুল আজিম বলেন, লকডাউন ও কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে খাতুনগঞ্জে ক্রেতা নেই। সে কারণে ১০ বস্তার মতো আদা নষ্ট হয়ে গেছে। এগুলো ফেলে দেওয়া ছাড়া কোনো উপায় নেই।

মেসার্স আলীম ট্রেডাসের মালিক জসিম উদ্দিন বলেন, লকডাউনের কারণে খাতুনগঞ্জে ক্রেতা নেই বললেই চলে। গোডাউনে রাখা পণ্য নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।