বিদেশে কাজের চুক্তি সম্পর্কে না জানলে যাত্রা বন্ধ

নিজস্ব প্রতিবেদক: বিদেশগামী বাংলাদেশি কর্মী যদি নিয়োগকর্তার সঙ্গে তার চুক্তির বিষয়ে অবগত না থাকেন কিংবা বিদেশ যাত্রার সময় কর্মীর সঙ্গে চুক্তির কপি না থাকে, তাহলে সেই কর্মীকে অফলোড করার (যাত্রা বন্ধ করা) সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়। এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা আজ রোবববার (৮ ডিসেম্বর) জারি করা হবে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রণালয়ের সচিব সেলিম রেজা। শনিবার রাজধানীর বাংলাদেশ-কোরিয়া টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টারে ইউকেএইড, ব্রিটিশ কাউন্সিলের প্রকাশ প্রকল্প ও সিজিসিএম-এর সহায়তায় বাংলাদেশ নারী শ্রমিক কেন্দ্র পরিচালিত গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

সেলিম রেজা বলেন, আমরা নতুন নীতিমালা করছি নারী কর্মীদের জন্য। আমরা আগামীকাল একটি নির্দেশনা জারি করবো। সেখানে বলা থাকবে, স্বাক্ষর করা চুক্তি কর্মীকে বুঝতে হবে। তাকে চুক্তির বিষয়গুলো রিক্রুটিং এজেন্সিকে বলতে হবে। আমরা সেটা ৩ থেকে ৪ জায়গায় যাচাই করার ব্যবস্থা করবো। ইমিগ্রেশন ক্লিয়ারেন্সের জন্য আমরা যাচাই করবো চুক্তি সম্পর্কে কর্মী জানেন কিনা। আবার যখন এয়ারপোর্টে যাবেন, সেখানেও যাচাই করা হবে। রিক্রুটিং এজেন্সি যদি না বুঝিয়ে দেয়, কর্মীর সঙ্গে যদি চুক্তির কাগজ না থাকে, তাহলে সেই কর্মীকে অফলোড করা হবে।

তিনি আরও বলেন, আমরা সৌদি আরবের রিক্রুটিং এজেন্সিকেও দায়বদ্ধতার মধ্যে আনার জন্য কাজ করছি। সেজন্য আমাদের দূতাবাসে রিক্রুটিং এজেন্সি নিবন্ধিত হওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে, যাতে কোনও অভিযোগ এলে আমরা কালো তালিকাভুক্ত করতে পারি। মেডিক্যাল ও ট্রেনিং যথাযথভাবে না করে কর্মীকে বিদেশ পাঠানো হলে এজেন্সির বিরুদ্ধে আমরা কঠোর ব্যবস্থা নেবো। ইতোমধ্যে আমরা ১০০টির বেশি রিক্রুটিং এজেন্সির লাইসেন্স বাতিল করেছি। যারা ভালো কাজ করবে, তাদের আমরা পুরস্কৃত করবো।

রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোকে শ্রেণিবদ্ধ করার কাজ হাতে নেওয়া হয়েছে জানিয়ে সচিব বলেন, চেষ্টা চলছে আগামী মাসে এই কাজ শেষ করার। এছাড়া আমরা দেখছি সৌদির সব এলাকা একরকম না। কিছু কিছু নির্দিষ্ট এলাকায় ঘটনাগুলো বারবার ঘটে। আমরা এসব এলাকায় কর্মী পাঠানোর ক্ষেত্রে রেসট্রিকটেড’ (সংরক্ষিত) করে দেবো।