বিএনপি মহাসচিবের স্ববিরোধী বক্তব্যের কারণ খোঁজা প্রয়োজন: তথ্যমন্ত্রী

নিউজ ডেস্ক: মিন্টু রোডের সরকারি বাসভবন থেকে অনলাইনে সদ্যপ্রয়াত সাবেক ডেপুটি স্পিকার কর্নেল (অব:) শওকত আলী স্মরণে জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।
তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল সাহেব একবার বলছেন, সরকার নাকি একদলীয় আচরণ করছে, আবার বলছেন, দেশে সরকার আছে কি না তা বোঝা যাচ্ছে না- তার এমন স্ববিরোধী অসংলগ্ন বক্তব্যের কারণ খোঁজা প্রয়োজন।’

শুক্রবার (২০ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর মিন্টু রোডের সরকারি বাসভবন থেকে অনলাইনে সদ্যপ্রয়াত সাবেক ডেপুটি স্পিকার কর্নেল (অব:) শওকত আলী স্মরণে জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় সমসাময়িক প্রসঙ্গে তিনি একথা বলেন। বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট ও জনতার প্রত্যাশা যৌথভাবে এ সভা আয়োজন করে।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ আজ এগিয়ে যাচ্ছে, করোনাকালেও দেশের অর্থনীতিতে প্রবৃদ্ধির ফলে এবছর বিশ্বের হাতেগোনা মাত্র কয়েকটি ধনাত্মক জিডিপি প্রবৃদ্ধির দেশের অন্যতম হওয়ায় দেশ ও বিশ্ববাসী আমাদের প্রশংসা করছে। ‘কিন্তু দেশের এই অগ্রযাত্রার সময় দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রও শুরু হয়েছে’ সতর্ক করেন ড. হাছান মাহমুদ।

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান তার বক্তব্যে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর দ্রুত সুস্থতা এবং মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর যেনো সুস্থ থাকেন, সেজন্য সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা করেন। একইসাথে বিএনপিকে তাদের মহাসচিবের অসংলগ্ন বক্তব্যের কারণ বের করার অনুরোধ জানান।

প্রয়াত কর্নেল (অব:) শওকত আলীর প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে ও তার আত্মার শান্তি কামনা করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা, আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার অন্যতম আসামি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর এবং ১৯৭৫ এর ১৫ আগস্টের পর আওয়ামী লীগকে সংগঠিত করতে অন্যতম মুখ্য ভূমিকা পালনকারী এবং জাতীয় সংসদের সাবেক ডেপুটি স্পিকার শওকত আলী অত্যন্ত জনপ্রিয় রাজনীতিবিদ ছিলেন। তিনি একাধারে ছয়বার জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন।

ড. হাছান বলেন, নির্মোহ সদালাপী এ মানুষটি জননেত্রী শেখ হাসিনার সাথেও ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছেন। ২০০১ সালে বিএনপি রাষ্ট্রক্ষমতায় থাকাকালে যখন আওয়ামী লীগের হাজার নেতাকর্মী নির্যাতনের শিকার হচ্ছিল, তখন শওকত আলী অত্যন্ত সোচ্চার ছিলেন। নতুন প্রজন্মের রাজনীতিকদের কাছে অনুকরণীয় এ ব্যক্তিত্বের মৃত্যু শুধু দলের নয় সমগ্র দেশের রাজনীতির জন্যই এক অপূরণীয় ক্ষতি।