বায়োফ্লক্স পদ্ধতিতে মাছ চাষে আগ্রহী যুবকরা

বায়োফ্লক্স পদ্ধতিতে মাছ চাষে আগ্রহী যুবকরা

কিশোরগঞ্জ সংবাদদাতা: কিশোরগঞ্জের ভৈরবে দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে বায়োফ্লক্স পদ্ধতিতে মাছ চাষ। অল্প পুঁজি অল্প স্থান অল্প পরিশ্রম করে অধিক লাভের কারণে যুব সমাজ ও মাছ চাষকারীরা এগিয়ে এসেছে এ পদ্ধতিতে মাছ চাষে। বাড়ির উঠানে, বসত ঘর, এবং অপ্রয়োজনীয় স্থানে বায়োফ্লক্স পদ্ধতিতে মাছ চাষ করা যায়। পুকুরে মাছ চাষের চেয়ে বায়োফ্লক্স পদ্ধতিতে মাছ চাষে অর্ধেক লাভ হওয়ায় উপজেলার শম্ভুপুর এলাকাসহ শহরে বিভিন্ন স্থানে এ পদ্ধতিতে মাছ চাষে প্রসার বেড়েই চলছে। কেউ কেউ নতুন ট্যাঙ্ক তৈরি করে মাছ চাষ শুরু করেছে কেউ কেউ ট্যাঙ্ক তৈরি করছেন।

ভৈরবের শম্ভুপুর গ্রামের জনৈক যুবক ছোট একটি ট্যাঙ্কে তেলাপিয়া চাষ করে সফলতা পায়। পরে সে তার বাড়ীর উঠানে দেড় লাখ টাকায় ৭ হাজার লিটার পানি ধারণক্ষমতা সম্পন্ন ৪ টি ট্যাঙ্ক তৈয়ার করে তাতে তেলাপিয়া, শিং ,মাগুর, গুলশা ও পাবদা চাষ শুরু করে। আট মাসে তার খরচ বাদ দিয়ে তার তিন লাখ টাকা আয় হয়। তার এ সাফল্য দেখে আগ্রহী হয়ে উঠে অনেকে। রায়হানের কাছ থেকে পরামর্শ নিয়ে এবং উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার সহায়তায় অন্তত ৫০ জন যুবক এ পদ্ধতিতে মাছ চাষ শুরু করেছে।

বায়োফ্লক্স পদ্ধতিতে মাছ চাষে অধিক খাবার দিতে হয়না। প্রাথমিক ভাবে মাছকে যে খাবার দেয়া হয় তার ২৫ ভাগ মাছ গ্রহণ করে ৭৫ ভাগ বর্জ্যে পরিণত হয়ে ভেক্টরিয়ার মাধ্যমে ফ্লগে পরিণত হয় সে গুলো মাছ আবার খাবার হিসাবে গ্রহণ করে। যার ফলে পুকুরের চেয়ে এ পদ্ধতিতে মাছ চাষে খরচ অনেক কম।  এলাকাবাসী জানান রায়হানের হাত ধরে ভৈরবের বিভিন্ন এলাকায় বায়োফ্লক্স পদ্ধতিতে মাছ চাষের প্রসার বেড়েই চলেছে।

উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা লতিফুর রহমান জানান, ভৈরবে সাধারণত ভূমির পরিমাণ খুব কম তাই প্রযুক্তিগত ভাবে মাছ চাষ এলাকার মাছের চাহিদা যেমন মিটাবে। তেমনি বেকার যুবকদের ও স্বাবলম্বী করতে সহায়তা করবেন। তিনি বলেন, এ পদ্ধতিতে মাছ চাষে অধিক স্থানের প্রয়োজন হয়না অল্প পুঁজি অল্প স্থান অল্প পরিশ্রম করে অধিক লাভ করা যায় তাই এক্ষেত্রে যারা এগিয়ে আসবে তাদের ভৈরব মৎস্য অফিস তাদের সব ধরনের সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিতে কার্পণ্য করবেনা।