বাংলাদেশি পণ্য না নেওয়ায়, প্রতিবাদে ভারতীয় পণ্য আমদানি বন্ধ

নিউজ ডেস্ক : ১০০ দিন পার হয়ে গেলেও ভারতীয় কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশের কোনো রপ্তানি পণ্য নিচ্ছে না। ফলে লোকসানে দিশাহারা এপারের ব্যবসায়ীরা। উপায়ান্তর না পেয়ে গতকাল বুধবার সকাল থেকে বেনাপোল-পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছেন রপ্তানিকারকরা।

তাঁদের বক্তব্য, ১০০ দিন পেরিয়ে গেলেও বাংলাদেশ থেকে কোনো পণ্যের চালান ভারতে রপ্তানি হয়নি। অথচ ৭৭ দিনের মাথায় ভারতীয় পণ্য বাংলাদেশে আসা শুরু হয়। এর আগে লকডাউনের কারনে ২২ মার্চ থেকে এ দুই বন্দরের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকে।

স্থানীয়ভাবে দুই দেশের বন্দর, কাস্টমস, বন্দর ব্যবহারকারীরা দফায় দফায় বৈঠকের পর গত ৭ জুন থেকে সীমান্ত বাণিজ্য সচল হয়। এর পর থেকে ভারতীয় পণ্য বাংলাদেশে আসছে। কিন্তু বাংলাদেশি কোনো পণ্যের চালান ভারতে রপ্তানি হয়নি।

বেনাপোলের বন্দর ব্যবহারকারীরা বলছেন, লকডাউনে নিরাপত্তাজনিত কারণ দেখিয়ে ভারতীয়রা বাংলাদেশ থেকে কোনো রপ্তানি পণ্য গ্রহণ করছে না। ফলে আমদানি কার্যক্রম স্বাভাবিক থাকলেও ব্যাহত হচ্ছে রপ্তানি। বাড়ছে বাণিজ্য ঘাটতি। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন রপ্তানিকারকরা। দেশে স্থলপথে যে রপ্তানি হয় তার ৭০ শতাংশ হয় বেনাপোল বন্দর দিয়ে। প্রতিবছর এ বন্দর দিয়ে প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা মূল্যের ৯ হাজার টন বাংলাদেশি পণ্য ভারতে রপ্তানি হয়। ফলে এ বন্দর দিয়ে বাণিজ্য ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে দুই হাজার কোটি টাকা।

বন্দর সূত্রে জানা গেছে, ভারতে প্রবেশের অপেক্ষায় বেনাপোল বন্দরে দুই শতাধিক ট্রাক রপ্তানি পণ্য নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। রোদ, বৃষ্টিতে যেমন পণ্যের গুণগত মান নষ্ট হচ্ছে তেমনি ব্যবসায়ীদের লোকসানের পাল্লাও ভারী হচ্ছে। গত ৭ জুন থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত ভারত থেকে চার হাজার ২০০টি ট্রাক পণ্য নিয়ে বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করলেও একটিও রপ্তানি ট্রাক গ্রহণ করেনি ভারতীয় কর্তৃপক্ষ।

ব্যবসায়ীরা জানান, ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার আমদানি-রপ্তানির অনুমতি দিলেও রাজ্য সরকারের একক সিদ্ধান্তের কারণে রপ্তানি কার্যক্রম স্বাভাবিক হচ্ছে না। সরকারের উচ্চ পর্যায় থেকে ভারতের রাজ্য সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি না করলে এর সুরাহা হবে না। তিন মাসেরও বেশি সময় ধরে রপ্তানি বন্ধ।