বজ্রপাতে সারাদেশে ৯ জনের মৃত্যু

৭০০ কি.মি. দৈর্ঘ্যরে বজ্রপাত ব্রাজিলে

নিজস্ব প্রতিবেদক:  হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জে দুইজন, শায়েস্তাগঞ্জে একজন, সুনামগঞ্জে একজন, ভোলায় একজন, মৌলভীবাজারের বড়লেখায় দুইজন ও কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচর ও ভৈরবে দুইজনসহ মোট ৯ বজ্রপাতে নিহত হয়েছেন। গতকাল ইয়াওমুস সাবত (শনিবার) পৃথকভাবে বজ্রপাতের এসব ঘটনা ঘটে।

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি জানান, জেলার আজমিরীগঞ্জ ও শায়েস্তাগঞ্জে বজ্রপাতে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও তিনজন। পুলিশ জানায়, সকালে ৫ কিশোর আজমিরীগঞ্জের হাওরে মাছ ধরতে যায়। এ সময় বৃষ্টির সঙ্গে বজ্রপাত হলে ঘটনাস্থলেই দুই কিশোর নিহত ও তিনজন আহত হয়।

অপরদিকে শায়েস্তাগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাম্মেল হক জানান, সকালে নিহত আছকির মিয়া তার ছেলেকে ডাকতে বাইরে বের হন। এ সময় বৃষ্টির সঙ্গে বজ্রপাত হলে তিনি আহত হন। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি জানান, সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলার সেলবরষ ইউনিয়নের মনাই নদীতে মাছ ধরতে গিয়ে বজ্রপাতে এক জেলে নিহত হয়েছেন। ভোলা প্রতিনিধি জানান, ভোলায় আউস ধানের ক্ষেতে কাজ করতে গিয়ে শনিবার সকালে বজ্রপাতে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় দুই কৃষক আহত হয়েছেন।

মৌলভীবাজার প্রতিনিধি জানান, জেলার বড়লেখা উপজেলায় বজ্রপাতে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার সকালে পৃথক এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সকাল ১০টার দিকে বৃষ্টির মধ্যে আব্দুল মতিন বাড়ির পাশে সবজি ক্ষেতে কাজ করতে যান। এসময় বজ্রপাত হলে ঘটনাস্থলেই তিনি প্রাণ হারান। অন্যদিকে, দুপুর আনুমানিক ১২টার দিকে রুবেল আহমদ কাজিরবন্দ এলাকার একটি খালে ঠেলাজাল দিয়ে মাছ ধরছিলেন। হঠাৎ বজ্রপাত হলে ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান।

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি জানান, জেলার কুলিয়ারচর ও ভৈরবে বজ্রপাতে দুইজন নিহত হয়েছেন।শনিবার এ দুটি ঘটনা ঘটে।