প্রাথমিক শিক্ষায় আরও গুরুত্ব দিতে হবে

নিজস্ব প্রতিবেদক : শিশুদের মননশীল করে গড়ে তুলতে প্রাথমিক শিক্ষায় আরও গুরুত্ব দিতে হবে বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।

সোমবার (১০ আগস্ট) মেহেরপুর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কার্যালয় আয়োজিত ভার্চুয়াল মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা জানান। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশকে উন্নত রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে শিশুদের আত্মপ্রত্যয়ী ও আত্মবিশ্বাসী করে গড়ে তুলতে হবে। শৈশবেই মানুষের মনন ও ব্যক্তিত্ব তৈরি হয়। তাই শিশুদের ব্যক্তিত্ব ও মানসিকতা তৈরিতে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

তিনি আরও বলেন, আগামী দিনের নাগরিক হিসেবে শিশুদের গড়ে তুলতে শিক্ষকদের ভূমিকা অপরিসীম। ছাত্র-ছাত্রীরা শিক্ষকদের কথা, আচরণ ও আদর্শ অনুসরণ করে। শিক্ষকদের নিজেদের তাদের কাছে আদর্শ হিসেবে উপস্থাপন করতে হবে।

ফরহাদ হোসেন বলেন, আধুনিক পদ্ধতি অনুসরণ করে শিশুদের পাঠদান করতে হবে, যাতে তারা পড়ালেখার সময় কোনো ধরনের চাপ অনুভব না করে। শিক্ষাকে আনন্দময় করে তুলতে হবে, যেন ছাত্র-ছাত্রীরা আন্তরিকতার সাথে তা গ্রহণ করে। বিদ্যালয়গুলোকে শিশুদের কাছে আরও আনন্দময় করে তুলতে প্রতিষ্ঠানগুলোর পরিবেশ ও শিক্ষার মান উন্নত করতে হবে।

বাংলাদেশকে সমৃদ্ধ দেশে পরিণত করতে শিশুদের বিজ্ঞানমনষ্ক করে গড়ে তোলারও আহ্বান জানান তিনি।

প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার শিক্ষার মানের ব্যাপক উন্নয়ন ঘটিয়েছে। এই উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রেখে শিক্ষার মানকে আরও উন্নত করতে শিক্ষক-অভিভাবক, জনপ্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্টদের একযোগে কাজ করতে হবে।

তিনি বলেন, শিক্ষার প্রসার ও উন্নয়নে বর্তমানে মেহেরপুর জেলা শীর্ষস্থানে রয়েছে। শিক্ষা কার্যক্রমে ডিজিটাল পদ্ধতির ব্যবহারে এ জেলা অত্যন্ত সম্মানজনক পর্যায়ে রয়েছে। তাই মেহেরপুরকে একটি মডেল হিসেবে গড়ে তুলতে এ অঞ্চলের সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে।

মেহেরপুরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মুনসুর আলম খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) মো. তাজুল ইসলাম, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগ ও প্রাইমারি টিচার্স ট্রেনিং ইনস্টিটিউটের কর্মকর্তা, বিভিন্ন পর্যায়ের জনপ্রতিনিধি ও রাজনৈতিক নেতা, বিভিন্ন বিদ্যালয়ের শিক্ষকসহ অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন।