প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে কোটার ব্যাখ্যা দিল অধিদফতর

নিজস্ব প্রতিবেদক: সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগে নারী শিক্ষকের চেয়ে বেশি সংখ্যক পুরুষ শিক্ষক নির্বাচিত হওয়ার ব্যাখ্যা দিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর (ডিপিই)। ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা-২০১৮ এর প্রকাশিত চ‚ড়ান্ত ফলে সরকারি কোটাবিধি যথাযথভাবে অনুসরণ করা হয়েছে।

গত শুক্রবার ডিপিইর অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত মহাপরিচালক সোহেল আহমেদ স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এমন ব্যাখ্যা দেয়া হয়েছে।

প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২০১৯ সালের ২৪ ডিসেম্বর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা-২০১৮ এর চ‚ড়ান্ত ফল প্রকাশিত হয়। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা-২০১৩ বিধি ৭(ক) অনুযায়ী কোনো একটি উপজেলার মোট পদের ৬০ শতাংশ নারী, ২০ শতাংশ পোষ্য ও ২০ শতাংশ পুরুষ কোটা নির্ধারিত থাকে।

আবার বিধি ৭(খ) অনুযায়ী নারী, পোষ্য ও পুরুষ- এই তিন ধরনের কোটা পূরণের ক্ষেত্রে আবার চার ধরনের কোটা অনুসরণ করা হয়। এগুলো হলো- এতিমখানা নিবাসী ও শারীরিক প্রতিবন্ধী ১০ শতাংশ, মুক্তিযোদ্ধা সন্তান ৩০ শতাংশ, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী ৫ শতাংশ এবং আনসার ও ভিডিপি সদস্য ১০ শতাংশ। নারী, পোষ্য ও পুরুষ কোটায় এই চার ধরনের কোটা অনুসরণের পর প্রতিটিতে অবশিষ্ট ৪৫ শতাংশ মেধা কোটা থেকে পূরণ করার নিয়ম রয়েছে।

বলা হয়, কোটায় উপযুক্ত প্রার্থী না পাওয়া গেলে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ২০১৮ সালের ৫ এপ্রিল জারি হওয়া স্মারক ও শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালার বিধি ৭(১)(খ) অনুযায়ী নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সাধারণ মেধাক্রম থেকে পূরণ করা হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, এবারের শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার ফল বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, বিভিন্ন শ্রেণি-কোটায় নির্বাচনযোগ্য প্রার্থী না পাওয়ায় শূন্যপদসমূহ সাধারণ প্রার্থীদের দ্বারা নারী-পুরুষ নির্বিশেষে মেধাক্রম অনুসারে পূরণ করা হয়েছে। এ প্রক্রিয়ায় বিধিসম্মতভাবেই কিছু উপজেলায় নির্বাচিত পুরুষ প্রার্থীর সংখ্যা নির্বাচিত নারী প্রার্থীর চেয়ে তুলনামূলকভাবে বেশি হয়েছে।

অধিদফতরের দাবি, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা-২০১৮ এর প্রকাশিত চ‚ড়ান্ত ফল বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের কারিগরি সহায়তায় উন্নত সফটওয়্যারের মাধ্যমে স্বয়ংক্রিয়ভাবে সর্বোচ্চ সতর্কতার সঙ্গে প্রক্রিয়াকরণ করা হয়েছে। এক্ষেত্রে মানবীয় হস্তক্ষেপের কোনো সুযোগ ছিল না। ব্যবহৃত সফটওয়্যারে সরকারি কোটাবিধি সঠিক ও যথাযথভাবে অনুসরণ করা হয়েছে বিধায় প্রত্যেক প্রার্থী বিধি অনুযায়ী মূল্যায়িত হয়েছেন। এ বিষয়ে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য সকলকে অনুরোধ জানানো হয়েছে।