প্রশ্নফাঁসের অপচেষ্টায় যুক্ত কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না: শিক্ষামন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক:শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন,সারাদেশে নকলমুক্ত পরীক্ষা আয়োজনে তীক্ষ্ম গোয়েন্দা নজরদারি বসানো হয়েছে। আমরা নকল ও প্রশ্নফাঁস মুক্ত পরিবেশে পরীক্ষা শেষ করতে নানা পদক্ষেপ নিয়েছি,প্রশ্নফাঁসের অপচেষ্টায়  যুক্ত কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।এসএসসি পরীক্ষার কেন্দ্র দেখতে যান শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি ও শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান নওফেলসারাদেশের কোথাও কেউ প্রশ্নফাঁসের অপচেষ্টার সঙ্গে যুক্ত হলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। শনিবার (২ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর আশকোনায় বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে এ কথা জানান তিনি।
এসএসসি পরীক্ষার কেন্দ্র দেখতে যান শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি ও শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান নওফেল । শনিবার (২ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর আশকোনায় বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শন করেন তারা।

শনিবার রাজধানীর বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে এসএসসি পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শনের পর তিনি সাংবাদিকদের কাছে তিনি এ কথা বলেন।শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আমরা যে সকল নির্দেশনা দিয়েছিলাম তার সবকটি অনুসরণ করা হয়েছে। পরীক্ষা শুরুর ২৫ মিনিট আগে প্রশ্নবাক্স খোলা হয়েছে। সারাদেশে অ্যালুমিনিয়াম ফয়েল পেপারে মোড়ানো প্রশ্নপত্র পাঠানো হয়েছে। দেশের সকল স্থানে সুষ্ঠুভাবে পরীক্ষা শুরু হয়েছে। এ পর্যন্ত কোথাও প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ পাওয়া যায়নি।প্রশ্নফাঁসের আশঙ্কা বিষয়ে জানতে চাইলে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘সারাদেশের কোথাও এই ধরনের তথ্য পেলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

মন্ত্রী বলেন, আমরা একেবারে নকল ও প্রশ্নফাঁস মুক্ত পরিবেশে পরীক্ষা শেষ করতে নানা ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছি। পূর্বের চাইতে এবার আমরা আরও কঠোর অবস্থানে রয়েছি। তাই প্রশ্নফাঁস বা তার গুজব ছড়ালে তারা আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে ধরা পড়বে।। কাউকে ছাড় দেয়া হবে না।

এর আগে সকাল ৯টা ১৫ মিনিটে উত্তরা পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রবেশ করেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি, শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দুই সচিবসহ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা ও দফতর সংস্থার কর্মকর্তারা।

প্রতিবছরের মতো এবারও প্রতিবন্ধীদেরকে ৩০ মিনিট অতিরিক্ত সময়সহ শিক্ষক/অভিভাবক/ সাহায্যকারীর বিশেষ সহায়তায় পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ দেওয়া হবে। ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগ সাইটগুলোতে নজরদারি থাকবে মনিটরিং কমিটির। অন্যান্য বছরের মতো এবারও সকালের পরীক্ষা ১০ থেকে ১টা এবং বিকালের পরীক্ষা ২টা থেকে ৫টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে। সব পরীক্ষার্থীকে ৩০ মিনিট আগে পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রবেশ করে আসন গ্রহণ করতে হবে।
পরীক্ষা শুরুর ২৫ মিনিট আগে এসএমএস-এর মাধ্যমে সংশ্লিষ্টদের কাছে প্রশ্নপত্রের সেট কোড জানিয়ে দেওয়া হবে। কেন্দ্র সচিব ব্যতীত (ছবি তোলা যায় না এমন ফোন) অন্য কেউ মোবাইল ফোন/ইলেকট্রনিক ডিভাইস নিয়ে কেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবেন না।