প্রথম যৌথ নৌ মহড়ায় অংশ নেবে বাংলাদেশ ও ভারত

নৌ মহড়ায় অংশ নেবে বাংলাদেশ ও ভারত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বাংলাদেশ আর ভারতের দুই নেতা যখন চলতি সপ্তাহের শেষের দিকে নয়াদিল্লিতে মিলিত হবে, তখন দুই দেশের মধ্যে সামরিক ও নৌ সম্পর্ক আরও গভীর হবে বলে আশা করা হচ্ছে। উচ্চ পর্যায়ের সূত্রে জানা গেছে, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখন ৫ অক্টোবর মিলিত হবে, তখন ভারতের উপকূলীয় রাডার চেইন নেটওয়ার্কের সাথে বাংলাদেশকে যুক্ত করার বিষয়টি নিয়েও আলোচনা হবে। এ অঞ্চলের বেশ কিছু দেশ এরই মধ্যে ভারতের এই উপকূলীয় রাডার নেটওয়ার্কের সাথে যুক্ত হয়েছে।

আলোচনার শেষে ভারত ইলেক্ট্রনিক্সের সাথে বাংলাদেশের একটি চুক্তি হতে পারে বলেও ধারণা করা হচ্ছে।
সামরিক ও নৌ সহযোগিতা

বাংলাদেশ তাদের অবকাঠামোর উন্নয়নের জন্য সম্ভাব্য সুযোগগুলো খতিয়ে দেখছে এবং সে ক্ষেত্রে এ অঞ্চলে আগে থেকেই চীনের বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ (বিআরআই) সক্রিয় রয়েছে।

ভারত বাংলাদেশকে নিজেদের দিকে আকৃষ্ট করার চেষ্টা করছে কারণ বাংলাদেশ এরই মধ্যে তাদের ৮০ শতাংশ সামরিক সরঞ্জামাদি চীন থেকে আমদানি করেছে, যার মধ্যে করভেট, টহল বোট এবং এক জোড়া মিং শ্রেণীর সাবমেরিনও রয়েছে। মিয়ানমার থেকে সুরক্ষার জন্য মূলত এগুলো আমদানি করছে বাংলাদেশ।

ভারত সাবমেরিন সংক্রান্ত প্রশিক্ষণের সাথে সাথে হাইড্রোগ্রাফি বিষয়েও সহায়তা দিচ্ছে। দেশটিকে ছয়টি ফ্রিগেট তৈরিতে সহায়তার জন্য ৫০০ মিলিয়ন ডলারের ক্রেডিট সহায়তা দেয়ারও আশ্বাস দিয়েছে ভারত, যেটা একই সাথে ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ প্রচেষ্টাকেও এগিয়ে নেবে। বাংলাদেশকে জাহাজ ডিজাইন এবং তাদের জাহাজ নির্মাণ শিল্পের প্রসারের ব্যাপারে সাহায্য ও সহযোগিতার প্রস্তাব দেয়া হয়েছে।

ভারতীয় নৌবাহিনীর তথ্য মতে, প্রথমবারের মতো দুই দেশের নৌবাহিনী দ্বিপাক্ষিক নৌ মহড়ায় অংশ নেবে এবং তাদের দ্বিতীয় সমন্বিত টহলে অংশ নেবে। বাংলাদেশ সরকার ভারতীয় নৌবাহিনীর সাথে এইচএডিআর মহড়ায় অংশ নেয়ার ব্যাপারে আগ্রহ জানিয়েছে। আঞ্চলিক সহযোগিতার দৃষ্টিকোণ থেকে দেখলে প্রতিবেশী বাংলাদেশ এখন ইন্ডিয়ান ওশান রিম অ্যাসোসিয়েশানের (আইওআরএ) ভাইস-চেয়ার এবং ২০২১ সালে তার চেয়ারের দায়িত্ব নেয়ার কথা রয়েছে।

সম্প্রীতি ২০১৯ মহড়া

ভারত-বাংলাদেশের যৌথ সামরিক মহড়া ‘সম্প্রীতি ২০১৯’ চলতি বছরের শুরুর দিকে বাংলাদেশের টাঙ্গাইলে অনুষ্ঠিত হয়েছে। দুই দেশ পাল্টাপাল্টিভাবে এই মহড়ার আয়োজন করে থাকে। দুই দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে সমন্বিতভাবে কাজ করার সক্ষমতা ও সহযোগিতা বাড়ানোর জন্য এ মহড়ার আয়োজন করা হয়ে থাকে।

-সাউথ এসিয়ান মনিটর