পুঁজিবাজারে সূচকের বড় পতন

পুঁজিবাজারে সূচকের বড় পতন

নিউজ ডেস্ক : দেশের দুই পুঁজিবাজারে বুধবার (১৮ মার্চ) বড় ধরনের দরপতন হয়েছে। এদিন দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক কমেছে ১৬৮ পয়েন্ট। অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সূচক কমেছে ৫৭৭ পয়েন্ট। সূচকের পাশাপাশি কমেছে প্রায় সব শেয়ারের দাম ও লেনদেন।

করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) আতঙ্কে ব্রোকারেজ হাউস রাস্তাঘাটসহ সব জায়গায় বিনিয়োগকারীদের মধ্যে শঙ্কা বিরাজ করছে। আর তাতে পুঁজিবাজারে ধস অব্যাহত রয়েছে। অথচ পুঁজিবাজারের স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে সরকারের অর্থ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংক, সকল তফসিলি ব্যাংক এবং পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্ট সবাই চেষ্টা করছে কিন্তু দরপতন থামছে না।

ডিএসইর তথ্য মতে, ব্যাংকগুলোর শেয়ার কিনে এমন খবরে বুধবার সূচকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতায় শুরু হয় লেনদেন। মাত্র ৪ মিনিটের মাথায় সূচক বাড়ে ১০৭ পয়েন্ট। এরপর শুরু হয়ে শেয়ার বিক্রির প্রবণতা। শেয়ার বিক্রি ও নতুন করে আরও একজনের করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে এমন খবরে শুরু হয় দরপতন। যা পরে ধসে পরিণত হয়।

তাতে দিন শেষে ডিএসইর প্রধান সূচক ১৬৮ পয়েন্ট কমে ৩ হাজার ৬০২ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। প্রধান সূচকের পাশাপাশি অন্য দুই সূচকের মধ্যে ডিএস ৩০ সূচক ৬১ পয়েন্ট এবং ডিএসইএস সূচক কমে ৩৯ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।

এর ফলে টানা চারদিন পুঁজিবাজারে ধস হলো। আর তাতে ডিএসইর সূচক কমেছে ৬২৭ পয়েন্ট। সূচকের পাশাপাশি কমেছে শেয়ারের দামও। বিনিয়োগকারীরা ৪০ লাখ ৩৩২ কোটি ৫১ লাখ টাকার পুঁজি হারিয়েছেন।

বাজার পর্যালোচনায় দেখা গেছে, সোমবারের মতোই ব্যাংক, বিমা, আর্থিক প্রতিষ্ঠানসহ ৯৮ শতাংশ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমায় ক্রেতা সংকটে পড়ে পুঁজিবাজার। এটি আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করে যখন ঘোষণা আসে যে নতুন করে আরও তিনজন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। ফলে শেয়ার মার্কেটে গুজব রটে মার্কেটে আরও ধস নামবে। অন্যদিকে, ব্রোকারেজ হাউসগুলোতে বিনিয়োগকারীদের উপস্থিতি কমতে থাকে। এমন পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে শেষ হয় দিনের বাকি লেনদেন।

দিন শেষে লেনদেন হওয়া কোম্পানিগুলোর দাম বেড়েছে ১৩টির, কমেছে ৩৩৩টির আর অপরিবর্তিত রয়েছে ১০টি কোম্পানির শেয়ারের দাম। মোট লেনদেন হয়েছে ৪২৯ কোটি ৩ লাখ ৪ হাজার টাকার। এর আগের দিন ৪০৬ কোটি ৬৯ লাখ ৬৩ হাজার টাকার।

অপর বাজার সিএসইর প্রধান সূচক ৪৪৩ পয়েন্ট কমে ১১ হাজার ১৩৩ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। লেনদেন হয়েছে ১৫ কোটি ৬০ লাখ ৫১ হাজার টাকা। এর আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ১৩ কোটি ৩৮ লাখ ১১ হাজার টাকা। লেনদেন হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে দাম বেড়েছে ১৯টির, কমেছে ২১৯টির আর অপরিবর্তিত রয়েছে ১০টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।