পুঁজিবাজারে লেনদেন কমেছে ৭০৭ কোটি টাকা

১০ বছর পর শেয়ারবাজারে টানা চাঙাভাব

নিজস্ব প্রতিবেদক: ব্যাংকগুলোর বিনিয়োগে বিশেষ ফান্ড গঠনে বাংলাদেশ ব্যাংক সার্কুলার জারি করেছিল। এতে পুঁজিবাজার কিছুটা ভালো অবস্থানে গেলেও সূচকের পতনেই লেনদেন শেষ হয়েছে গত সপ্তাহের। এই পতনের কারণে গত সপ্তাহে (০১ থেকে ০৫ মার্চ) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) লেনদেন কমেছে ৭০৭ কোটি টাকা।

শনিবার ডিএসই ও সিএসই সূত্রে জানা যায়, বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইর বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে তিন লাখ ৩৬ হাজার ৭৪৭ কোটি ছয় লাখ ১৬ টাকায়। অথচ আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ডিএসইর বাজার মূলধন ছিল তিন লাখ ৪২ হাজার ৯৮৩ কোটি ১৮ লাখ টাকা। সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে বাজার মূলধন ছয় হাজার ২২৬ কোটি ১১ লাখ ৮৪ হাজার টাকা বা ১.৮১% কমেছে।

বিদায়ী সপ্তাহে পুঁজিবাজারে লেনদেন কমেছে ৭০৭ কোটি টাকা। এর মধ্যে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) আগের সপ্তাহের তুলনায় ৬৭৬ কোটি এবং অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) ৩১ কোটি টাকা লেনদেন কমেছে। সপ্তাহজুড়ে অব্যাহত পতনের কারণে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ২১.৯২% এবং চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) ২৬% লেনদেন কমেছে।

জানা গেছে, বিদায়ী সপ্তাহে পাঁচ কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) দুই হাজার ৪১০ কোটি ৭৮ লাখ ৭৫ হাজার ৮৩৩ টাকার লেনদেন হয়েছে। যা আগের সপ্তাহ থেকে ৬৭৬ কোটি ৬৬ লাখ ৮৭ হাজার ২৪ টাকা বা ২১.৯২% কম। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল তিন হাজার ৮৭ কোটি ৪৫ লাখ ৬২ হাজার ৮৫৭ টাকার।

ডিএসইতে বিদায়ী সপ্তাহে গড় লেনদেন হয়েছে ৪৮২ কোটি ১৫ লাখ ৭৫ হাজার ১৬৬ টাকার। আগের সপ্তাহে গড় লেনদেন হয়েছিল ৬১৭ কোটি ৪৯ লাখ ১২ হাজার ৫৭১ টাকার। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে গড় লেনদেন ১৩৫ কোটি ৩৩ লাখ ৩৭ হাজার ৪০৫ টাকা কম।

বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৯৫ পয়েন্ট বা ২.১৩% কমে দাঁড়িয়েছে চার হাজার ৩৮৪ পয়েন্টে। অপর সূচকগুলোর মধ্যে শরিয়াহ সূচক ২৯ পয়েন্ট বা ২.৭৭%, ডিএসই-৩০ সূচক ৩০ পয়েন্ট বা ২.০২% কমে দাঁড়িয়েছে ১০১৫ ও ১৪৬২ পয়েন্টে।

বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইতে মোট ৩৫৮টি প্রতিষ্ঠান শেয়ার ও ইউনিট লেনদেনে অংশ নিয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে ৯৭টি বা ২৭ শতাংশের, কমেছে ২৩৭টির বা ৬৬ শতাংশের এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৪টির বা ৭ শতাংশের।

সপ্তাহজুড়ে এ ক্যাটাগরির শেয়ারের লেনদেন কমেছে। এই সময় এ ক্যাটাগরির শেয়ার লেনদেন হয়েছে এক হাজার ৮৯৬ কোটি ৬৩ লাখ টাকার বা ৭৮.৬৭%। বি ক্যাটাগরির শেয়ারের লেনদেন হয়েছে ৪৫৪ কোটি এক লাখ টাকার বা ১৮.৮৩%। এন ক্যাটাগরি শেয়ারের লেনদেন হয়েছে ৩০ কোটি ২৯ লাখ টাকার বা ১.৩৬% এবং জেড ক্যাটাগরির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ২৯ কোটি ৮৪ লাখ টাকার বা শূন্য.৬১%।

অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সপ্তাহজুড়ে ৯২ কোটি ১৮ লাখ ৫৪ হাজার ৭০৪ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ১২৩ কোটি ৯৭ লাখ ৮৮ হাজার ১৬৩ টাকার। এ হিসাবে সপ্তাহের ব্যবধানে সিএসইতে টাকার পরিমাণে লেনদেন কমেছে ৩১ কোটি ৭৯ লাখ ৩৩ হাজার ৪৫৯ টাকা বা ২৬%।