পিকে হালদারের চিঠি ঔদ্ধত্যপূর্ণ

নিজস্ব প্রতিবেদক: আদালতের আদেশের পর দেশে না ফেরার সিদ্ধান্ত জানিয়ে আদালতকে পি কে হালদারের চিঠি ঔদ্ধত্যপূর্ণ বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা। দুদক আইনজীবী বলেন, চিঠির ভাষা আদালত অবমাননাকর। অ্যাটর্নি জেনারেল বলছেন, কোনো পলাতক আসামি আত্মসমর্পণের আগে আইনি সহায়তা পেতে পারেনা। সবার আগে তাকে আত্মসমর্পণ করতে হবে।

বর্তমানে কানাডায় অবস্থানকারী দুর্নীতিবাজ পিকে হালদার ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফিনান্সিয়াল সার্ভিসেস লিমিটেডের থেকে আড়াই হাজার কোটি টাকা, ফাস ফাইন্যান্স থেকে দুই হাজার ২০০ কোটি টাকা, পিপলস লিজিং থেকে তিন হাজার কোটি টাকা এবং রিলায়েন্স ফাইন্যান্স থেকে আড়াই হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে। সব মিলে পিকে হালদারের আত্মসাতের অংক অন্তত ১০ হাজার ২০০ কোটি টাকা। এ অর্থ সে পাচার করেছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে।

গত ২১ অক্টোবর দেশ থেকে ১০ হাজার ২০০ কোটি টাকা আত্মসাৎ করে পালানোর অভিযোগ থাকা প্রশান্ত হালদারকে দেশে আসা মাত্রই গ্রেপ্তার করতে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোকে নির্দেশ দিয়েছিলো হাইকোর্ট। সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নিলেও গত শনিবার পিপল লিজিং এর আইনজীবী অ্যাটর্নি জেনারেল অফিসকে জানায়, দেশে ফিরছেনা পি কে হালদার। তার পাঠানো চিঠিতে পলাতক আসামী হয়ে নিজে “আদালতকে সময় জানিয়ে আসবে” এমন উল্লেখ ঔদ্ধত্বপূর্ণ বলে মনে করেন দুদক আইনজীবী।

তিনি বলেন, আমি আদালতের কাছে নিবেদন করবো। আইজি পুলিশের মাধ্যমে ইন্টারপোলে যেনো একটা অর্ডার যায় তাকে গ্রেফতার করে আনার জন্য। কতবড় ঔধ্যর্ত যে বলে আমি আদালতের লিখিত কোনো আদেশ পাইনি। আপানিতো আদালতের পক্ষই না। আদালতের দৃষ্টিতে একজন পলাতক আসামি। আবার সে তার চিঠিতে লিখেছে সময় সুযোগ বুঝে সে দিন তারিখ জানাবে। এটা সরাসরি আদালতকে অবমাননা করা হলো। এবং আমি মনে করি এরজন্য দায়ী ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফিনান্সিয়াল সার্ভিসেস লিমিটেডে।