পাসের হার শূন্য: ব্যাখ্যা চেয়ে ২১ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে চিঠি

নিজস্ব প্রতিবেদক: ২০১৮ সালের জেএসসি (জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট), জেডিসি (জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট), এসএসসি (মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট) ও এইচএসসি (উচ্চ মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট) পরীক্ষায় কোনও শিক্ষার্থী পাস না করা ২১ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নেওয়া হবে না তা জানতে চেয়ে চিঠি দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর (মাউশি)। আগামী ১০ কার্যদিবসের মধ্যে এসব প্রতিষ্ঠানের প্রধানদের ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে।
মঙ্গলবার মাউশির সহকারী পরিচালক মো. সবুজ আলম স্বাক্ষরিত নোটিশে এ ব্যাখ্যা চাওয়া হয়। এতে বলা হয়, অভিযুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে পাবলিক পরীক্ষায় সর্বোচ্চ অংশ নেওয়া পরীক্ষার্থী ১০ জন এবং সর্বনিম্ন একজন পরীক্ষার্থী, যাদের কেউ পাস করেনি। ২০১৮ সালের জনবল কাঠামো ও এমপিও (মাসিক পে-অর্ডার) নীতিমালায় পাবলিক পরীক্ষায় কোনও শিক্ষার্থী পাস না করা প্রতিষ্ঠানের এমপিও স্থগিত রাখাসহ অন্যান্য ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
নোটিশে যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে সেগুলো হলো, খাগড়াছড়ির পানছড়ি উপজেলার শুকনা চেরি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার এস কে আর এস মাধ্যমিক বিদ্যালয়, নীলফামারীর ডোমার উপজেলার উত্তর মাটুকপুরি নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়, একই উপজেলার শতাব্দীগঞ্জ নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়, নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার কিসমত বিরেহারান বদি (কে.বি) নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়, লালমনিরহাট সদর উপজেলার বড় বাসুরিয়া নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়, এই উপজেলার সোনাতলা নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়, লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার নদী ও জীবন নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার আগ্নিবীনা নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়, একই জেলার হরিপুর উপজেলার টেঙ্গরিয়া নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়, এবং পি জি এ নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়, পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ উপজেলার ব্রাক্ষ্মটর সুন্দদিঘী নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়, আটোয়ারি উপজেলার বড়গাতি নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়, দেবীগঞ্জ উপজেলার লক্ষ্মীরহাট উচ্চ বিদ্যালয়, গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার তুতিয়াপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়, সুন্দরগঞ্জ উপজেলার সারবানাদা মাধ্যমিক বিদ্যালয়, লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার বাধাই দক্ষিণপাড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়, দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার নলবাড়ী মাধ্যমিক বিদ্যালয়, বগুড়া সদর উপজেলার দারুল ইসলাম নাইট উচ্চ বিদ্যালয়, নাটোরের লালপুর উপজেলার বামনগ্রাম বিজয়পুর নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার চাঁনপাড়া নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়।