পাট আইনের খসড়া অনুমোদন

আগের তিন বছর কারাদণ্ডের সঙ্গে এক লাখ টাকা জরিমানার বিধান ঠিক করে দিয়ে পাট আইন প্রণয়নের প্রস্তাবে সায় দিয়েছে সরকার।

সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে ‘পাট আইন ২০১৬’ এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়।

বৈঠকের পর মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম সাংবাদিকদের বলেন, সামরিক শাসনামলে প্রণিত আইন/অধ্যাদেশ নতুন করে বাংলায় প্রণয়নে উচ্চ আদালতের নির্দেশনা রয়েছে। আগের পাট অধ্যাদেশটি অনুসরণ করেই নতুন আইনের খসড়া তৈরি করা হয়েছে।

১৯৬২ সালের ‘জুট অর্ডিনেন্স’ পরে ১৯৬৩, ১৯৭৪ ও ১৯৮৩ সালে সংশোধন করা হয়। ওই অধ্যাদেশের আলোকেই পাট আইন করা হচ্ছে।

এ আইনে ৩২টি ধারা রয়েছে জানিয়ে শফিউল বলেন, পাট ও পাটজাত পণ্য উৎপাদন, গবেষণা, পাটজাত পণ্য ব্যবসায় সরকারের ক্ষমতা, লাইসেন্স দেওয়া, উন্নয়ন ফি আরোপ, উন্নয়ন তহবিল গঠন, পাটখড়ি থেকে পণ্য উৎপাদন, বিক্রয়, নিষিদ্ধকরণের ক্ষমতা, বিক্রয় নিষিদ্ধকরণের ক্ষমতা, হিসাব বই আটকের ক্ষমতা দেওয়া ছাড়াও আইনের যে কোনো ধারা লঙ্ঘন করলে জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে।

“আইন লঙ্ঘন করলে সর্বোচ্চ তিন বছরের জেল, এক লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ড দেওয়া যাবে।”

সচিব জানান, আগের অধ্যাদেশে আইন লঙ্ঘন করলে তিন বছর কারাদণ্ডের বিধান থাকলেও কত টাকা জরিমানা করা যাবে তা নির্ধারিত ছিল না।

গত ২২ জুন পাট পণ্যের তালিকায় ‘পাটখড়ি’ সংযোজন করে পাট আইনের খসড়ায় নীতিগত অনুমোদন দিয়েছিল মন্ত্রিসভা।

সোমবারের বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বিমান পরিবহনে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের খসড়াও অনুমোদন পেয়েছে।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, দুই দেশের মধ্যে কোনো চুক্তিপত্র করতে হলে তা মন্ত্রিসভার অনুমোদন নিতে হয়। এ কারণেই এ সমঝোতা।

“এর মাধ্যমে উভয় দেশ যে কোনো সংস্থার বিমান সংস্থাকে তাদের মনোনীত সংস্থা হিসেবে দুই দেশের মধ্যে ফ্লাইট পরিচালনার জন্য মনোনয়ন দিতে পারবে।”

শফিউল বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে ফ্লাইট পরিচালনার জন্য এখন দ্বিপক্ষীয় চুক্তির দরকার হয়, যা আগে ছিল না। মন্ত্রিসভার অনুমোদন পাওয়ায় এখন দুই দেশের মধ্যে নতুন করে চুক্তি হবে।

“যুক্তরাষ্ট্রের এয়ার ট্রাফিকের বিধিবিধানের আলোকেই এ চুক্তিপত্র হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রে ফ্লাইট পরিচালনায় আগে যেসব বিধিনিষেধ ছিল এই চুক্তিপত্রের ফলে তার সব বাতিল হয়ে যাবে।”