আজ দুপুরে ‘ছায়াশূন্য’ হবে পবিত্র কাবা শরীফ

গবেষকরা জানান, পবিত্র কাবা ঘরটি বিষুব রেখা ও কর্কটক্রান্তির মাঝখানে অবস্থিত হওয়ার কারণেই এমনটা ঘটে। ২৭ মে ছাড়াও প্রতিবছর ১৬ জুলাই তারিখেও একই ঘটনা ঘটে বলে জানান তারা।

এই দুটি দিনের নির্দিষ্ট সময়ে পৃথিবীর যে কোন স্থানে নামাযের সঠিক কিবলা (ক্বিবলায়ে আইনী) নির্ণয় করার সুযোগ পাওয়া যায়। নামাযের ক্বিবলার সঠিক অবস্থান নির্ণয় পদ্ধতি সম্পর্কে বাংলাদেশ রুইয়াতিল হিলাল এর প্রেসিডেন্ট এবিএম রুহুল হাসান বলেন, পবিত্র কাবা শরীফ উনার জিরো শ্যাডো যেদিন এবং যে সময়টাতে সংঘটিত হয় ঠিক তখন আপনি পৃথিবীর যে প্রান্তেই থাকুন না কেন খোলা জায়গায় একটি লাঠি বা খুটি সমান ও খাড়াভাবে রাখুন। খুটির ছায়া যেদিক পড়বে ঠিক তার বিপরীত দিকেই পবিত্র ক্বাবা শরীফ উনার সঠিক অবস্থান। যেটাকে ইসলামের পরিভাষায় ক্বিবলায়ে আইনী বলা হয়।

পৃথিবীর অক্ষরেখায় সূর্য ২৩.৫ ডিগ্রি কৌণিক অবস্থান নিয়ে বিষুব রেখার উত্তর ও দক্ষিণ দিকে ঘুরতে থাকে। এভাবে একবার উত্তর গোলার্ধে একবার দক্ষিণ গোলার্ধে যায়। আর এই আসা যাওয়ার পথে বছরে দুইবার সরাসরি উপরে অবস্থান নিয়ে পবিত্র কাবা শরীফকে ছায়াশূন্য করে দেয়।