নির্বাচন ছাড়া উপায় নেই, বিএনপিকে ওবায়দুল কাদের

নিউজ ডেস্ক: বিএনপি পদযাত্রার নামে যতই অপচেষ্টা করুক না কেন, নির্বাচন ছাড়া কোনো উপায় নেই বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ‘বিএনপির আন্দোলনের নদীতে জোয়ার নেই। গণজোয়ারও আসে না। তারা (বিএনপি) স্লো মোশনে পদযাত্রা করছেন। শর্টমার্চ থেকে লংমার্চে যাচ্ছেন, সবই ভুয়া। বিএনপির আন্দোলনের খেলা শেষ।’

শুক্রবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর মোহাম্মদপুরে মকবুল হোসেন কলেজ প্রাঙ্গণে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের ‘শান্তি সমাবেশে’ প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আওয়ামী লীগ পালিয়ে যাবে না, পালিয়েছে তারেক রহমান। আওয়ামী লীগের শেকড় এ দেশের মানুষের অন্তরে অন্তরে। আওয়ামী লীগ থাকবে, আপনারা পালিয়েছেন, ভবিষ্যতেও পালাবেন।’

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘১৪ বছর আগের ঢাকা আর আজকের ঢাকা কিংবা পুরো বাংলাদেশের দিকে তাকান, কতটা পরিবর্তন হয়েছে, উন্নয়ন হয়েছে, তা দৃশ্যমান। যেদিকে তাকানো হয়, উন্নয়ন আর উন্নয়ন। বিশ্বসংকটেও বাংলাদেশের জনগণ শেখ হাসিনার ওপর নির্ভর করে। বর্তমান সরকারের উন্নয়নে তারা খুশি। মন খারাপ শুধু বিএনপির। সরকারের সফলতার অন্যতম বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট, মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্রবন্দর, পায়রা সমুদ্রবন্দর, রূপপুরে পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র, রামপালের কয়লাচালিত বিদ্যুৎকেন্দ্র। একদিনে ১০০ সেতুর উদ্বোধন কেবল শেখ হাসিনা সরকারের দ্বারাই সম্ভব।’

সরকার বেশি দামে জ্বালানি কিনে ভর্তুকি দিয়ে দেশ চালাচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনার পরিবার সাধারণ জীবনযাপন করেন। নিজের ভাগ্য নয়, সাধারণ মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে কাজ করছে শেখ হাসিনার সরকার। অথচ তারেক জিয়া লুটপাট ও সন্ত্রাসের সর্বোচ্চ অবস্থানে থাকা ব্যক্তি। লুটপাটের রাজা তারেক, হাওয়া ভবনকে খাওয়া ভবন বানিয়েছে।’

বিএনপির সমালোচনা করে ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র গণতন্ত্র সম্মেলনে কাকে দাওয়াত দিলো বা না দিলো, তা শেখ হাসিনা সরকারের কোনো মাথাব্যথা নেই। এ দেশের গণতন্ত্র ঠিক আছে কি না, সেটা হচ্ছে বর্তমান সরকারের ভাবনা ও ভূমিকা।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞার জন্য হাজারও তদবির করে ব্যর্থ হচ্ছে বিএনপি। বিদেশিদের সঙ্গে লবিং করেও ব্যর্থ। একের পর এক বিদেশি কূটনীতিকরা বাংলাদেশে এসেছেন এবং সরকারের সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন। কিন্তু তারা বিএনপির সঙ্গে কোনো বৈঠক করেননি। বিএনপি বন্ধুহীন হয়ে পড়েছে। ঘরে বসে বসে হিন্দি সিরিয়াল দেখা আর জানালা দিয়ে পুলিশের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করা ছাড়া তাদের কোনো উপায় নেই।’

বিএনপি গণতন্ত্রের বিষফোঁড়া মন্তব্য করে কাদের বলেন, ‘তাদের কাছে গণতন্ত্র নিরাপদ নয়, দেশ ও জনগণও নিরাপদ নয়। বিএনপি বাংলাদেশকে আফগানিস্তান বানাতে চায়। জনগণকে সাবধান ও সতর্ক থাকতে হবে। শেখ হাসিনার সরকার এ দেশের নারীদের সম্মানিত করেছেন। নারীদের কর্মক্ষেত্রে ব্যাপকতা দিয়েছে সরকার। মায়েদের সম্মানিত করেছে আওয়ামী লীগ সরকার।’

নিজ দলের নেতাকর্মীদের সমালোচনা করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘কিছু কিছু মানুষ দলের নাম ভাঙিয়ে অপকর্ম করছেন। তাদের অপকর্ম বন্ধ করতে হবে, সংশোধন হতে হবে। না হলে নির্বাচনে এটার ফল ভোগ করতে হবে।’

শান্তি সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়াসহ মহানগর আওয়ামী লীগের নেতারা।