নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগে দুই দফায় বিএনপির ১২ প্রার্থীর মামলা

নিউজ ডেস্ক:একাদশ নির্বাচনে অংশ নিয়ে বিএনপিসহ জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট মাত্র আটটি আসনে বিজয় অর্জন করতে সক্ষম হয়।একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটের নানা অনিয়ম অভিযোগ আকারে তুলে ধরে নির্বাচনি ট্রাইব্যুনালে দ্বিতীয় দফায় মামলা করেছেন বিএনপির ১২ জন প্রার্থী।

গত ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেই নির্বাচনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকার বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে টানা তৃতীয় বারের মতো রাষ্ট্র পরিচালনায় আসে। পক্ষান্তরে বিএনপি দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন বয়কট করলেও একাদশ নির্বাচনে অংশ নিয়ে বিএনপিসহ জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট মাত্র আটটি আসনে বিজয় অর্জন করতে সক্ষম হয়।

১৪ ফেব্রুয়ারি, বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের নির্বাচনি ট্রাইব্যুনালে পাঁচটি মামলা দায়ের করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আইনজীবী ব্যারিস্টার মো. রুহুল কুদ্দুস কাজল। এর আগে গতকাল ১৩ ফেব্রুয়ারি সাত প্রার্থী মামলা করেন। আজকের মামলা করা প্রার্থীসহ গত দুই দিনে বিএনপির মোট ১২ জন প্রার্থীর মামলা হলো।

আইনজীবী রুহুল কুদ্দুস কাজল জানান, প্রার্থীরা পাঁচটি মামলা করেছেন। এ ছাড়া আরও ৮-১০টি মামলা করার জন্য ফাইল রেডি করা আছে। আজ করা পাঁচ মামলায় বাদীরা হলেন—ঢাকা-২ আসনের ইরফান ইবনে আমান অমি, ঢাকা-৫ আসনের নবী উল্যাহ নবী, মানিকগঞ্জ-২ আসনের মঈনুল ইসলাম শান্ত, নরসিংদী-৫ আসনের আশরাফ উদ্দিন, নারায়ণগঞ্জ-২ আসনের প্রার্থী নজরুল ইসলাম আজাদ।

গতকাল বুধবার বিএনপির সাত প্রার্থী নির্বাচনি ট্রাইব্যুনালে মামলা করেন। তারা হলেন—ঝিনাইদহ-৪ আসনের সাইফুল ইসলাম ফিরোজ, টাঙ্গাইল-৭ আসনের আবুল কালাম আজাদ সিদ্দিকী, বরিশাল-১ আসনের জহির উদ্দিন স্বপন, গাজীপুর-৪ আসনের শাহ রিয়াজুল হান্নান, মৌলভীবাজার-৩ আসনের নাসের রহমান, মুন্সীগঞ্জ-৩ আসনের আব্দুল হাই, ভোলা-২ আসনের মো. হাফিজ ইব্রাহিম।

প্রসঙ্গত, ৩০ ডিসেম্বর সারা দেশে বর্তমান সরকার ভোট ডাকাতি করে ফল নিজেদের করে নিয়েছে বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। নির্বাচনের পরপরই বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জানান, বিএনপিসহ জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ফলাফল প্রত্যাখ্যান করেছে, পুনর্নির্বাচনের দাবি জানিয়েছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে আজ ও গতকাল প্রার্থীরা মামলা করছেন এবং পুনর্নির্বাচনেরও দাবি জানিয়েছেন।