নতুন ৭-৮টি সন্ত্রাসী আবাসের সন্ধান!

ঢাকা: নব্য জেএমবির আরো ৭ থেকে ৮টি আবাসের তথ্য পেয়েছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। এর মধ্যে কয়েকেটি চিহ্নিত করা হয়েছে। পুলিশ বলছে এসব জায়গায় অস্ত্র, বিষ্ফোরকসহ প্রশিক্ষিত সন্ত্রাসীরা থাকতে পারে। গোয়েন্দারা বলছেন সারা দেশে এখনও বাতিলপন্থী সন্ত্রাসী সংগঠনটির সক্রিয় সদস্য রয়েছে প্রায় ১শ’ জন।

দুই তিন বছর আগে সন্ত্রাসী আস্তানা গড়াতে মূলত উত্তর বঙ্গের বিভিন্ন উপশহর ও প্রত্যন্ত অঞ্চল বেছে নিত সন্ত্রাসীরা। শারিরীক মানসিক প্রশিক্ষণ ও অস্ত্র পরিচালনার কলা কৌশল রপ্ত করে ২০১৫ সালের শেষ দিকে ঢাকা ও এর আশেপাশের এলাকায় অবস্থান নিয়ে আস্তানা গড়ে তুলে সন্ত্রাসীরা। গোয়েন্দা নজরদারি এড়াতে দুই তিন মাস পরপর আস্তানা পরিবর্তন করতে থাকে সন্ত্রাসীরা।

একই সঙ্গে চলতে থাকে হামলার প্রস্তুতি। ঢাকায় হামলার পর সন্ত্রাসীদের সন্ধানে তৎপর হয়ে উঠে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। সন্ধান মিলে শেওরা পাড়ার এক আস্তানা যেখানে বিষ্ফোরকের মজুদ গড়ে তুলেছিল সন্ত্রাসীরা। সোয়াট এই বিষ্ফোরক উদ্ধার করতে সক্ষম হয়।

এর পরেই খবর পায় কল্যাণপুরে সন্ত্রাসী আস্তানার। সেখান থেকেই ৯ সন্ত্রাসী হত্যা আর এক সন্ত্রাসী আটক করা হয়। আটক সেই সন্ত্রাসীর থেকে মিলে আরো আস্তানার খবর। টানা অভিযানে প্রায় ধ্বংসের মুখে নব্য জিএমবি এখন মরিয়া হয়ে উঠেছে। ক্রমাগত চাপের মুখে পরে চালাচ্ছে পাল্টা হামলা।

এ সম্পর্কে কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার ছানোয়ার হোসেন বলেন, ‘সন্ত্রাসীরা প্রত্যন্ত অঞ্চলে প্রথমে আস্তানা গড়ে নিজেদের প্রশিক্ষিত করে। তাদের অস্ত্র জোগার করে। যখন তাদের সব ধরনের প্রস্তুতি শেষ হয় তখনই সন্ত্রাসীরা শহরমুখি হয়’।

সম্প্রতি কুমিল্লার চান্দিনায় পুলিশের উপর হামলা করতে গিয়ে গ্রেপ্তার হয় ২ সন্ত্রাসী। তাদের থেকে চট্টগ্রামের সীতাকুন্ড ও সিলেটের শিববাড়ী, মৌলভীবাজার ও কুমিল্লার আস্তানার খবর মিলে।

কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার ছানোয়ার হোসেন বলেন, ‘আট থেকে দশ মাস আগে যে পরিমান সন্ত্রাসী আস্তানা ছিলো তা কমিয়ে আনা হয়েছে । এখন আস্তানা আছে প্রায় ২০ শতাংশ। এই আস্তানার খবরগুলো আমাদের কাছে আছে। ধারাবাহিক ভাবে আমরা সেই আস্তানা গুড়িয়ে দিবো আশা করছি’।

পুলিশ বলছে সন্ত্রাসীরা আপাতত পিছু হটলেও আবারো ঢাকা ও এর আশেপাশের এলাকায় ফেরার অপেক্ষায় আছে সন্ত্রাসীরা।