ধর্মঘটে নেতিবাচক প্রভাব বন্দরে

চট্টগ্রাম সংবাদদাতা: কনটেইনার বহনকারী গাড়ির (প্রাইম মুভার, ট্রেইলার) শ্রমিকদের একাংশের ধর্মঘটের কারণে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে চট্টগ্রাম বন্দরে। সময়মতো তৈরি পোশাক ভর্তি রফতানির কনটেইনার বন্দরে না পৌঁছায় গতকাল বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) তিনটি জাহাজ বন্দর ছেড়ে যেতে পারেনি।

এ ঘটনায় উদ্বেগ বাড়ছে রফতানিকারক, বন্দর ব্যবহারকারী, শিপিং এজেন্টসহ সংশ্লিষ্টদের মধ্যে।

সূত্র জানায়, বেতন বাড়ানো ও নিয়োগপত্রের দাবিতে ১৯টি বেসরকারি ইনল্যান্ড কনটেইনার ডিপো (আইসিডি) বা অফডকের কনটেইনারবাহী গাড়ির চালক ও সহযোগীরা বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে ধর্মঘট শুরু করে। এর ফলে বন্দর থেকে ডিপোতে এবং ডিপো থেকে বন্দরে আমদানি, রফতানি ও খালি কনটেইনার আনা-নেওয়া বন্ধ হয়ে যায়।

ডিপো মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ ইনল্যান্ড কনটেইনার ডিপোস অ্যাসোসিয়েশনের (বিকডা) সচিব রুহুল আমিন জানান, বর্তমানে বিভিন্ন ডিপোতে ৫৯ হাজার কনটেইনার রয়েছে। এর মধ্যে ৮ হাজার ৭০০ রফতানি পণ্য ভর্তি, ৭ হাজার ৮০০ আমদানি পণ্যভর্তি এবং বাকিগুলো খালি কনটেইনার।

চালক-শ্রমিকদের দাবি প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, দেশে ৮ হাজারের বেশি প্রাইম মুভার বা ট্রেইলার আছে। এর মধ্যে ডিপো মালিকদের অধীনে আছে মাত্র সাড়ে আটশ’। এসব শ্রমিকদের স্থির বেতন ও প্রডাকটিভিটির ওপর ভাতা মিলিয়ে সরকার নির্ধারিত মজুরি কাঠামোর চেয়ে তিন গুণ বেশি দেওয়া হয়। কিন্তু তাদের দাবি স্থির বেতন সরকার নির্ধারিত বেতনের সমান করা। আমাদের মনে হয় করোনা ভাইরাসের নেতিবাচক প্রভাবের মধ্যে একটি স্থির খাতকে অস্থিতিশীল করার পাঁয়তারার অংশ কনটেইনারবাহী গাড়ির একাংশের এ ধর্মঘট।