দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল রাখার জন্য ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বসেছেন মন্ত্রী

রেলের ৪ রুট দিয়ে ভারত থেকে পণ্য আমদানি হবে

নিউজ ডেস্ক:নিত্যপণ্যের বাজারের অস্থিরতা নিয়ন্ত্রণে আনতে এবং রমজানে দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল এবং ক্রেতাদের নাগালের মধ্যে রাখতে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। বুধবার (২৭ মার্চ) বিকাল ৩টায় সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এ বৈঠক শুরু হয়।

বৈঠকে ব্যবসায়ীদের পাশাপাশি অর্থ মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়, কৃষি মন্ত্রণালয়, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়, খাদ্য মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংক, বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা, ঢাকা সিটি করপোরেশন, ঢাকা মেট্রোপলিটান পুলিশ (ডিএমপি) এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) প্রতিনিধিরা উপস্থিত রয়েছেন।

সূত্র জানায়, মে মাসের প্রথম সপ্তাহে শুরু হচ্ছে রমজান। রমজানকে কেন্দ্র করে বাজারে কয়েকটি নিত্যপণ্যের চাহিদা বাড়ে। আর সেই চাহিদাকে কেন্দ্র করে একশ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী অনৈতিক মুনাফার নেশায় মেতে ওঠে। কেউ কেউ পণ্য মজুত করে কৃত্রিম সংকট তৈরি করে। এতে বাজার অস্থিতিশীল হয়। এতে নিম্ন আয়ের মানুষের কষ্ট বাড়ে। তাই এবার রমজান শুরুর আগেই বাজারের দিকে নজর দিতে চায় সরকার। পণ্যের সরবরাহ ঠিক রাখার পাশাপাশি যাতে কেউ কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করতে না পারে, সে বিষয়টি কঠোরভাবে মনিটরিংয়ের মাধ্যমে নিত্যপণ্যের দাম সাধারণ ক্রেতাদের সাধ্যের মধ্যে রাখতে চায় সরকার।

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, ‘শুধু রমজানে নয়, সারা বছরই দ্রব্যমূল্য মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে থাকবে, দাম বাড়বে না। এর জন্য যা করার প্রয়োজন, তা-ই করা হবে। কেউ যাতে বাজার অস্থির করতে না পারে, সে বিষয়ে সরকারের সব সংস্থা একযোগে কাজ করবে।’

ব্যবসায়ীদের সঙ্গে অনুষ্ঠিতব্য বৈঠক সম্পর্কে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বৈঠকে ব্যবসায়ীদের কাছে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের সরবরাহ ও মজুত পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে চাওয়া হবে। কোনও পণ্যের সরবরাহে ঘাটতি না থাকলে দাম বৃদ্ধির কোনও কারণ নেই, তা নিশ্চিত করা হবে।’

এদিকে বাজার ঘুরে দেখা গেছে, এরইমধ্যে বাড়তে শুরু করেছে কয়েকটি নিত্যপণ্যের দাম। এরমধ্যে পেঁয়াজ উল্লেখযোগ্য। গত কয়েকদিনে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে কেজিতে ২ থেকে ৬ টাকা। ২২ থেকে ২৪ টাকা কেজি দরের পেঁয়াজ বেচা হচ্ছে ২৮ টাকা দরে। শীতের সবজি শেষ হয়ে গেছে। বাজারে সরবরাহ কমেছে শীতকালীন বিভিন্ন প্রজাতির মাছের। গ্রীস্মকালীন সবজি এখনও বাজারে আসেনি। সামনে রমজান। এসব কারণে বাজারে সব ধরনের সবজিসহ মাছ ও ডিমের দাম বেড়েছে অনেকটাই। বাজারে এখন ৬০ টাকার নিচে কোনও সবজি নেই বললেই চলে। করল্লার কেজি ১০০ টাকা। ঢেঁড়স বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা দরে। প্রতিদিন বাড়ছে ডিমের দাম। এই সুযোগে কিছুটা বেড়েছে চালের দাম।

ব্যবসায়ীরা বলেছেন, রোজার সময় ডাল, তেল, পেঁয়াজ, চিনির বাড়তি চাহিদা সৃষ্টি হয়। তাই এসব নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়ার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যায় না।