দেশীয় শিল্পের অনুকূলে নীতিমালা সাজানোর পরামর্শ

নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশীয় শিল্পের অনুকূলে আমদানি-রপ্তানি নীতি, ব্যাংকিং নীতি ও শিল্প নীতিকে ঢেলে সাজানোর পরামর্শ দিয়েছেন শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার। একই সঙ্গে ক্ষুদ্র, মাঝারি ও কুটির শিল্পের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত প্রণোদনার অর্থ দ্রুত বিতরণের জন্য ব্যাংকগুলোর প্রতি আহবান জানান তিনি।
বৃহস্পতিবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকী উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ আহ্বান জানান প্রতিমন্ত্রী।

শিল্প প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশে যে সব শিল্প পণ্য উৎপাদিত হচ্ছে, সেগুলো আমদানির ক্ষেত্রে কর বৃদ্ধি করতে হবে এবং দেশীয় পণ্যের রপ্তানি উৎসাহিত করতে দেশীয় উদ্যোক্তাদের বিশেষ ইনসেন্টিভ দিতে হবে। বিসিক ও এসএমই ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে কুটির, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প উদ্যোক্তাদের ঋণ সহায়তা নিশ্চিত এবং বিটাকের মাধ্যমে উদ্যোক্তাদের দক্ষতা উন্নয়ন কার্যক্রম জোরদার করা আহ্বান জানান তিনি।

শিল্প প্রতিমন্ত্রী এ সময় খেলাপি ঋণ নিয়ন্ত্রণে ব্যাংকগুলোকে আরও তৎপর হওয়ার আহ্বান জানান।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশের সর্বত্র স্থানীয় কাঁচামাল ভিত্তিক শিল্পকারখানা স্থাপনের লক্ষ্যে সরকার কাজ করছে। যেসব জমিতে ফসল হয় না সেখানে জমি অধিগ্রহণের মাধ্যমে পর্যাপ্ত অবকাঠামো উন্নয়ন করে শিল্প কারখানা স্থাপন করা হবে। শ্রমিকদের স্বার্থ সুরক্ষা নিশ্চিত করতে ও দেশের শিল্পখাতকে এগিয়ে নিয়ে যেতে বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার পর শিল্প কারখানাসমূহ জাতীয়করণের উদ্যোগ নিয়েছিলেন।

ফরাসউদ্দিন বলেন, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, দারিদ্র্য নির্মূল ও আমদানি বিকল্প পণ্য উৎপাদনের মাধ্যমে সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশের অর্থনীতি পুনরায় নিমার্ণে বঙ্গবন্ধু কৃষির পাশাপাশি শিল্পকেও যথাযথ গুরুত্ব দিয়েছিলেন। স্বাধীনতার পর শিল্প কারখানার পাকিস্তানি মালিকরা পালিয়ে গেলে বঙ্গবন্ধু এ সব কারখানাকে জাতীয়করণের মাধ্যমে রক্ষা করেন।