দেশজুড়ে আনন্দঘন পরিবেশ, মসজিদে মসজিদে মুসল্লিদের ব্যাপক উপস্থিতিতে জুমুয়ার নামায আদায়

নিজস্ব প্রতিবেদক: গতকাল পবিত্র জুমুয়ার নামায়ে অত্যন্ত আনন্দঘন পরিবেশে ও উৎসাহের সাথে বিপুল সংখ্যক মুসল্লিগণ মসজিদে উপস্থিত হয়ে অত্যন্ত সুষ্ঠুভাবে পবিত্র ছলাতুল জুমুয়া শরীফ উনার নামায আদায় করেছেন। প্রশাসন, ইফা ও কথিত মসজিদ কমিটি মুসল্লিদেরকে মসজিদে আসতে নিরুৎসাহিত করার নানারকম অপচেষ্টা চালালেও তাতে তেমন সাড়া মেলেনি।
বরং রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন মসজিদেই দেখা গেছে বিপুল সমারোহে দ্বীনদার মুসল্লিগণ মসজিদে আজানের আগেই এসে উপস্থিত হয়েছে। এমনিক অনেক মসজিদেই দেখা গেছে অন্যসময়ের চেয়ে বেশি মুসল্লিদের উপস্থিতি। সাড়ে ১২টা থেকেই মুসল্লিগণ মসজিদে আসা শুরু করেন। মসজিদেই ওযু করে সুন্নত নামাজ পড়েন তারা। প্রায় সব মসজিদেই উপস্থিত ছিলেন বৃদ্ধ ও শিশুরাও। অনেক মসজিদের ভেতরে মুসল্লিদের জায়গা না হওয়ায় রাস্তায় নামাজ পড়তেও দেখা গেছে। এছাড়া, জুমার বয়ান, খুতবা, জামাত ও দোয়া সংক্ষিপ্ত করা, জামাতের কাতারে ফাঁক ফাঁক হয়ে দাঁড়ানোর ইসলামী শরীয়তবিরোধী নিদের্শনাও উপেক্ষা করেছেন দেশের দ্বীনদার মুসলমানগণ।

কথিত ইসলামিক ফাউন্ডেশন জুমার নামাজ ও জামাতে মুসল্লিদের অংশগ্রহণ সীমিত করার শরিয়তবিরোধী বিজ্ঞপ্তি দিলেও তাতে তেমন সায় মিলেনি। বরং মানুষ বিপদ-আপদ, বালা-মুছীবত থেকে হেফাজত থাকতে মহান আল্লাহপাক উনার ঘর পবিত্র মসজিদে উপস্থিত হওয়া এবং নামায-কালাম আদায় করাকেই একমাত্র ও বড় উছীলা হিসেবে বিশ্বাস করছেন এবং সে মুতাবেক আমলেও প্রতিফলিত করছেন।

রাজধানীর মিরপুর, শ্যামলী, জুমুয়াাবাদ, মগবাজার, সার্কিট রোড, পল্টন, বায়তুল মোকাররম, ধানমন্ডি, কলবাগান এলাকার মসজিদগুলো ঘুরে দেখা গেছে, আরও বেশি বয়স্ক মানুষ জুমার জামাতে অংশ নিতে মসজিদে গিয়েছেন। অনেকেই সঙ্গে নিয়ে গেছেন শিশুদের। এছাড়া নামাজের আগে ও শেষে মুসল্লিদের অনেকেই একত্রিত হয়ে নিজেদের আন্তরিকতার বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়েছেন। বেশিরভাগ মুসল্লির মধ্যেই প্রশাসনের ইসলামবিরোধী নির্দেশনা মানার আগ্রহ দেখা যায়নি।

নাজিমউদ্দিন নামের এক বয়স্ক মুসল্লি বলেন, আমার বয়স হয়েছে ঠিকই, তবে আমি তো অসুস্থ না। আমি কেন মসজিদে আসবো না? আর আমি আল্লাহকে ভয় পাই, করোনাকে না। সরকার তো মসজিদ বন্ধ করেনি, তাহলে আমি আসলে সমস্যা তো নাই।
রাজধানীর হাইকোর্ট মাজার মসজিদের বাইরে দেখা গেছে সাহায্যের আশায় শতাধিক দরিদ্র মানুষ ভিড় করেছেন। অনেক মুসল্লি নামাজ শেষে তাদের দান-ছদক্বা করে সাহায্যও করেছেন।