দুর্নীতি প্রতিরোধে টিআইবির ১০ দফা দাবি

দুর্নীতি প্রতিরোধে টিআইবির ১০ দফা দাবি

নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশের দুর্নীতি প্রতিরোধে ১০ দফা দাবি জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। রোববার রাজধানীর শেরে বাংলা নগরে জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজা এলাকায় এক মানববন্ধন আয়োজন করে সংস্থাটি। মানববন্ধনে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান।

টিআইবির দেওয়া ১০ দফা দাবিগুলো- কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না’ প্রধানমন্ত্রীর এই অঙ্গীকারের বাস্তবায়ন, অভীষ্ট ১৬ এর ওপর সর্বাধিক প্রাধান্য নিশ্চিত করা, দুর্নীতির বিরুদ্ধে সাধারণ জনগণ, গণমাধ্যম ও বেসরকারি সংগঠনগুলো যেন সোচ্চার ভূমিকা রাখতে পারে তার পরিবেশ নিশ্চিতে সরকারের উদ্যোগ, সব নাগরিকের বাক-স্বাধীনতা নিশ্চিত এ ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন’ এবং ‘ফরেন ডোনেশন (ভলান্টারি একটিভিটি) রেগুলেশন অ্যাক্ট’র নিবর্তনমূলক ধারা বাতিল করা, তথ্য অধিকার বাস্তবায়নে উপযুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করা অন্যতম।

মানববন্ধনে ইফতেখারুজ্জামান বলেন, প্রতিবছর ৯ ডিসেম্বর দুইটি উদ্দেশ্যকে সামনে নিয়ে আন্তর্জাতিক দুর্নীতিবিরোধী দিবস পালিত হয়। এর একটি হচ্ছে, দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। দুর্নীতির সঙ্গে জড়িতদের আইনের আওতায় আনতে হবে। আর দুর্নীতি প্রতিরোধের জন্য উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করতে হবে। টিআইবি ২০০৪ সাল থেকে দিবসটি পালন করে আসছে। ২০১৭ সাল থেকে সরকার এটিকে স্বীকৃতি দিয়েছে। সরকারিভাবেও দিবসটি পালিত হয়ে আসছে। তবে, আমাদের জন্য প্রতিটি দিবসই দুর্নীতিবিরোধী দিবস। মানুষের বাক-স্বাধীনতা যেন নষ্ট না হয়, গণমাধ্যমের কণ্ঠ যেন রোধ করা না হয় আমরা তার দাবি জানাই। এগুলো নিশ্চিত করে সরকারের দায়িত্ব।

ইফতেখারুজ্জামান আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী দুর্নীতি প্রতিরোধে ঘর থেকেই শুদ্ধি অভিযানের কথা বলেছেন। তিনি নিজেও ‘কাউকে ছাড় দেবেন না’ স্লোগান দিয়ে নিজ দল (আওয়ামী লীগ) থেকে দুর্নীতি প্রতিরাধে কাজ করেছেন। এটি একটি রাজনৈতিক অঙ্গীকার। এটিকে শক্তি করে আমাদের দুর্নীতি প্রতিরোধে কাজ করতে হবে। বিশেষ করে দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক)। দুদক আগের সময়গুলো থেকে অনেক সক্রিয় হয়েছে। তবে, দেশের মানুষ দুদক থেকে আরও কার্যকর ভূমিকা পালন করবে। কারোও ব্যক্ত পরিচয়ের ঊর্ধ্বে গিয়ে প্রধানমন্ত্রীর অঙ্গীকারকে বাস্তবায়ন করতে হবে।