তুরস্ক-সিরিয়ায় ভূমিকম্প: সাহায্যের হাত বাড়িয়েছে গোটা বিশ্ব

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: তুরস্ক-সিরিয়ায় ৭ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্পের তাণ্ডবে মৃতের সংখ্যা ৬৪০ জন ছাড়িয়েছে। আহত হয়েছেন আরও কয়েক হাজার। উদ্ধারকাজ অব্যাহত থাকায় হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এ অবস্থায় ভুক্তভোগী দেশ দুটির দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়েছে গোটা বিশ্ব।

যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে, তুরস্ক-সিরিয়ায় যেকোনো ধরনের সহায়তার জন্য তারা প্রস্তুত। মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেক সুলিভান এক বিবৃতিতে বলেন, তুরস্ক ও সিরিয়ায় আজকের ধ্বংসাত্মক ভূমিকম্পের খবরে যুক্তরাষ্ট্র গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।

তিনি বলেন, আমরা যেকোনো ধরনের সহায়তা দিতে প্রস্তুত। সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্য করার জন্য ইউএসএআইডি এবং কেন্দ্রীয় সরকারের অন্য অংশীদারদের নির্দেশ দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।

তুরস্কে ভূমিকম্পে ধসে পড়েছে ১ হাজার ৭০০’র বেশি ঘরবাড়ি। সেখানে উদ্ধারকাজে সহায়তার জন্য উদ্ধারকারী দল পাঠাচ্ছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন।

ইউরোপীয় কমিশনার জেনেজ লেনারসিক টুইটারে বলেছেন, নেদারল্যান্ডস এবং রোমানিয়ার উদ্ধারকারী দলগুলো এরই মধ্যে রওয়ানা দিয়েছে। ইইউ’র ইমার্জেন্সি রেসপন্স কোঅর্ডিনেশন সেন্টার তাদের তদারকি করছে।

ভুক্তভোগী তুরস্ক ও সিরিয়াকে প্রয়োজনীয় জরুরি সহায়তা দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। দুটি দেশই রাশিয়ার ঘনিষ্ঠ মিত্র বলে পরিচিত।

সোমবার রুশ প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানকে পাঠানো বার্তায় পুতিন বলেছেন, আপনার দেশে শক্তিশালী ভূমিকম্পে অসংখ্য মানুষ হতাহত এবং বড় ধ্বংসযজ্ঞের জন্য আমার গভীর সমবেদনা গ্রহণ করুন।

সিরীয় প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদকে পাঠানো পৃথক বার্তায় তিনি বলেন, যারা প্রিয়জন হারিয়েছেন তাদের দুঃখ ও বেদনা ভাগাভাগি এবং প্রয়োজনীয় সাহায্য করতে প্রস্তুত রাশিয়া।

ইস্তাম্বুল থেকে আল-জাজিরার সংবাদদাতা জানিয়েছে, বাজে আবহাওয়ার কারণে তুরস্কে উদ্ধারকাজ ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

ফরাসি প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ বলেছেন, তার দেশ তুরস্ক ও সিরিয়াকে জরুরি সহায়তা দিতে প্রস্তুত। এক টুইটে তিনি বলেন, অভূতপূর্ব শক্তির ভূমিকম্পের পর আমরা তুরস্ক এবং সিরিয়ায় ভয়ানক চিত্র দেখছি। সেখানে জরুরি ত্রাণ সরবরাহ করতে প্রস্তুত ফ্রান্স।

এছাড়া, ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত তুরস্ক-সিরিয়াকে সহায়তা করার প্রস্তাব দিয়েছে আজারবাইজান, ইসরায়েল, জার্মানির মতো দেশগুলোও।