তুরস্কে পণ্য রপ্তানিতে শুল্ক হ্রাসের আহ্বান ঢাকা চেম্বারের

নিজস্ব প্রতিবেদক: তুরস্কে বাংলাদেশি পণ্য রপ্তানিতে শুল্ক কমাতে দেশটির বাণিজ্যমন্ত্রী ড. মেহমুদ মুসের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) সভাপতি রিজওয়ান রাহমান।

গত ২ অক্টোবর তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারায় ড. মেহমুদের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে রিজওয়ান রাহমান এ আহ্বান জানান। মঙ্গলবার (৪ অক্টোবর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

সাক্ষাৎকালে ঢাকা চেম্বারের সভাপতি রিজওয়ান রাহমান বলেন, বাংলাদেশ ও তুরস্কের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ৯০০ মিলিয়ন ডলারের হলেও, তা এখনো কাঙ্ক্ষিত পর্যায়ে পৌঁছেনি। তবে পণ্যের বহুমুখীকরণ এবং ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সংক্রান্ত কর ও শুল্ক প্রতিবন্ধকতা নিরসনের মাধ্যমে বিদ্যমান দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য দুই বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করা সম্ভব।

দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগের অধিকতর সম্প্রসারণে দুদেশের সরকারি ও বেসরকারিখাতের মধ্যকার যোগাযোগ আরও সম্প্রসারণ, বিশেষ করে বাংলাদেশের ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল ও ২৮টি হাই-টেক পার্কে বিনিয়োগে এগিয়ে আসার জন্য তুরস্কের উদ্যোক্তাদের প্রতি আহ্বান জানান ডিসিসিআই সভাপতি।

বর্তমানে তুরস্কে রপ্তানিকৃত বাংলাদেশি পণ্যের ৭৮ দশমিক ৯ শতাংশ শুল্ক সুবিধা পেয়ে থাকে উল্লেখ করে এটি আরও বাড়ানোর আহ্বান জানান রিজওয়ান রাহমান।

তিনি বলেন, বাংলাদেশে উৎপাদিত সিরামিক ও তৈরি পোশাক তুরস্কের বাজারে রপ্তানির ক্ষেত্রে যথাক্রমে ১৯ ও ১৭ শতাংশ হারে শুল্ক প্রদান করতে হয়। নির্ধারিত এ শুল্ক হার কমানোর ওপর জোরারোপ করেন তিনি।

ঢাকা চেম্বারের সভাপতি বলেন, অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে ডি-৮-এর আরও কার্যকর ভূমিকা পালনে বাংলাদেশ এবং তুরস্ক একযোগে কাজ করতে পারে।

দুদেশের বাণিজ্য ও বিনিয়োগ এখনো আশানুরূপ নয় উল্লেখ করে তুরস্কের বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য আরও বাড়াতে আমাদের একযোগে কাজ করতে হবে।

বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য বাংলাদেশ একটি উৎকৃষ্ট গন্তব্যস্থল উল্লেখ করে তিনি জানান, তুরস্কের বেশ কিছু ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান এর মধ্যেই বাংলাদেশে বিনিয়োগের মাধ্যমে সফলভাবে তাদের কার্যক্রম সম্প্রসারণ করেছে এবং তাদের এ সাফল্য আরও প্রতিষ্ঠানকে বাংলাদেশে বিনিয়োগে উৎসাহিত করবে।

সাক্ষাৎকালে তুরস্কে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মসয়ূদ মান্নান উপস্থিত ছিলেন।