তুরস্কের পাশে কাতার

তুরস্কে ১৫ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের ঘোষণা দিয়েছে কাতার। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চলমান বিবাদে তুরস্কের অর্থনীতির যখন অস্থির হয়ে উঠেছে তখন দেশটির পাশে দাঁড়াল কাতার। তুরস্কের অর্থনীতি স্থিতিশীল করতেই কাতার এ বিনিয়োগ করবে বলে জানিয়েছেন দেশটির আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি। এ সময় তিনি তুরস্কের মানুষদের ভাই বলে অভিহিত করেন। এ খবর দিয়েছে অনলাইন আল-জাজিরা। খবরে বলা হয়েছে, জুমুয়াবার তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েফ এরদোগানের সঙ্গে বৈঠক করেছেন কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ। তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারায় এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চলমান বিবাদ শুরু হওয়ার পর এই প্রথম কোনো রাষ্ট্রপ্রধান তুরস্ক সফর করলো। বর্তমানে তুরস্কের অর্থনীতি কঠিন সময় পার করছে। ডলারের বিপরীতে লিরার মান রেকর্ড পরিমাণ কমে গেছে। দেশটি নানাভাবে এ সমস্যা কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। সেসময় কাতারের আমির ঘোষণা দিলো, আমরা আমাদের তুর্কি ভাইদের পাশে দাঁড়িয়েছি। জুমুয়াবার তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোগানের সঙ্গে বৈঠকের সময় সেখানে ১৫ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের ঘোষণা করেছি। এটি তুরস্ককে এই অর্থনৈতিক সংকট উৎরাতে সাহায্য করবে।
এ বৈঠকে দেশ দুটির নেতারা নিজেদের মধ্যে কৌশলগত সম্পর্ক উন্নয়নের বিষয়েও আলোচনা করেছেন। গত বুধবার প্রেসিডেন্ট এরদোগানের মুখপাত্র ইব্রাহিম কালিন এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, কাতারের আমিরের এ সফরকে তুরস্ক গুরুত্বপূর্ন মনে করছে। এরকম কঠিন সময়ে তার সফর প্রমাণ করে কাতার তুরস্কের পাশে রয়েছে। তুরস্কে কাতারের রাষ্ট্রদূত সালিম বিন মুবারক আল শাফি বলেছেন, তার দেশ তুরস্ককে সমর্থন দেয়া অব্যাহত রাখবে। তুরস্কের অর্থনীতি চাঙ্গা করতে কাতারের মানুষ কোটি কোটি তুর্কি লিরা কিনছে যাতে ডলারের বিপরীতে লিরার দাম আবারও বৃদ্ধি পায়। ২০১৬ সালের ব্যর্থ সরকারবিরোধী অভ্যুত্থানের সময় কাতার যেভাবে তুরস্কের পাশে ছিল, সবসময়ই দেশটিকে সেভাবে সমর্থন দিয়ে যাবে।