তিন মাসও টিকলো না কোটি টাকার বাঁধ

খুলনা সংবাদদাতা: খুলনার কয়রা উপজেলায় দরপত্র আহ্বান ছাড়াই প্রায় সোয়া কোটি টাকা ব্যয়ে জরুরি মেরামত করা তিনটি বেড়িবাঁধ ভেঙে গেছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, ১২০ কিলোমিটার বেড়িবাঁধের মধ্যে ঘাটাখালী বাঁধের জরুরি মেরামত কাজ ৬ মাস আগে, হরিণখোলা ও ২ নং কয়রার বাঁধের কাজ ৩ মাস আগে শেষ হয়েছে। সম্প্রতি আম্পান-এর আঘাতে জরুরি মেরামত করা তিনটি বাঁধই ভেঙে গেছে।

স্থানীয়দের অভিযোগ, ২০০৯ সালের ২৫ মে ঘূর্ণিঝড় আইলার আঘাতে মূলত এ সব বেড়িবাঁধ নড়বড়ে হয়ে যায়। এরপর থেকেই বাঁধগুলো কেবল মেরামত করে সাধারণ মানুষের চলাচলের জন্য পথটি সুগম করা হয়েছে। আদতে বাঁধ মজবুত করা হয়নি। বিভিন্ন সময়ে এ সব বাঁধে জরুরি মেরামত কাজের নামে অর্থ অপচয় হয়েছে। কিন্তু বাঁধগুলো কয়রাবাসীর উপকারে আসেনি।
উপজেলার গোলখালী গ্রামের নিবাসী আশাফুর রহমান জানান, ঘাটাখালীতে জরুরি কাজের দৃশ্য তিনি নিজেই পর্যবেক্ষণ করেছেন। সেখানে মাটি ফেলে কাজ করার ফলে জরুরি কাজটিও ছিল দুর্বল। যা নির্ধারিত মাপের চেয়ে ৩ ফুট নিচু করা হয়। আর ভূমিতে ৩০ ফুটের স্থলে ৫-৭ ফুট করা হয়। তখন এসব অনিয়ম বন্ধ করে সঠিকভাবে কাজ করানোর জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডকে বলা হয়েছিল। কিন্তু তারা বিষয়টি আমলে নেননি। ফলে এখন সেই স্থানই ভেঙেছে। আর ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে।

কয়রা উপজেলা উন্নয়ন কমিটির সাধারণ সম্পাদক ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, জরুরী কাজের নামে যে কয়টি বাঁধ মেরামত করা হয়েছে সেগুলোর প্রত্যেকটিই ভেঙে গেছে। কয়রায় আসলে বেড়িবাঁধে জরুরি কাজের নামে অর্থ লুটপাট হয়েছে।