ঢাবির বিজ্ঞান অনুষদে সাপ্লিমেন্টারি পরীক্ষা চালুর দাবি

ঢাবির বিজ্ঞান অনুষদে সাপ্লিমেন্টারি পরীক্ষা চালুর দাবি

নিউজ ডেস্ক: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) বিজ্ঞান অনুষদের শিক্ষার্থীদের অকৃতকার্য বিষয়সমূহে সাপ্লিমেন্টারি পরীক্ষা চালুর দাবি জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীরা বলছেন, সাপ্লিমেন্টারি পরীক্ষা না নেয়া হলে প্রায় শতাধিক শিক্ষার্থীর দুটি শিক্ষাবর্ষ নষ্ট হয়ে যাবে।

সোমবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এক মানববন্ধন থেকে এ দাবি জানায় বিজ্ঞান অনুষদের শিক্ষার্থীরা।

তাদের এ দাবির সাথে সংহতি প্রকাশ করেছে সাবেক ডাকসু ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। মানববন্ধনের আয়োজন করেন ড. মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ্ হলের সংসদের সাবেক ভিপি হোসাইন আহমেদ সোহান।

তাদের দাবি, বিজ্ঞান অনুষদের সকল শিক্ষার্থীদের অকৃতকার্য বিষয়সমূহে বিশেষ ফলােন্নয়ন পরীক্ষা নেয়ার ব্যবস্থা করা এবং করোনা পরিস্থিতি বিবেচনা করে পরবর্তী বর্ষে কৃতকার্য হওয়ার নূন্যতম সিজিপিএ (২.৫) বিষয়টি শুধুমাত্র এ বছরের জন্য তুলে দেয়া।

শিক্ষার্থীরা বলছেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভাগগুলাের মধ্যে বিজ্ঞান অনুষদের বিভাগগুলােতে ফলাফল প্রকাশে বিলম্বিত হওয়ার কারণে পুনঃভর্তি প্রক্রিয়া ব্যাহত হয়। বিগত বছরগুলােতে আমরা লক্ষ্য করেছি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশে ৬/৭ মাস সময় লাগে। শিক্ষার্থীরা পরবর্তী বর্ষে ৬/৭ মাস ক্লাস করা, ইনকোর্স পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করা, অ্যাসাইনমেন্ট করার পর জানতে পারে তারা অকৃতকার্য। এ বছরও প্রথম বর্ষের ফলাফল ২ মাসের মধ্যে প্রকাশ হলেও অন্যান্য বর্ষগুলােতে প্রতিবছরের ন্যায় বিলম্ব হয়েছে।

তারা বলেন, স্বাভাবিকভাবেই আমাদের ১ বছর ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, তার উপরে পুনঃভর্তি নিতে হলে আমাদের ২টি গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষাবর্ষ নষ্ট হয়ে যাবে। এ অবস্থায় আমরা সকলে নিজ খরচে বিশেষ ফলােন্নয়ন পরীক্ষা দিয়ে পাশ করার জন্য বদ্ধপরিকর। বিগত বছরগুলােতেও এভাবে বিশেষ ফলােন্নয়ন পরীক্ষা নেয়া হয়েছিলাে। পরীক্ষা দ্রুত অনুষ্ঠিত হলে আমরা পরবর্তী বর্ষের ক্লাস, পরীক্ষায় পুনরায় অংশগ্রহণ করতে পারবাে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের সাবেক এজিএস এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শিক্ষার্থীদের সাথে সংহতি জানিয়ে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রশাসন একের পর এক শিক্ষার্থীবিরোধী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সাথে শিক্ষার্থীদের যে চুক্তি রয়েছে সেই চুক্তির বরখেলাপ করে, কথা দিয়ে কথা না রাখার যে সংস্কৃতি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন চালু করেছে, তারই ফলাফল হিসেবে আমরা দেখতে পাই যে বিজ্ঞান অনুষদ আজকে ছয়-সাত-আট মাস পর তাদের ফলাফল প্রকাশ করে।

‘এত দীর্ঘ সময় পর একজন শিক্ষার্থী জানতে পারে সে অকৃতকার্য হয়েছে। তখন তাকে আবার নতুন করে আগের বছরের পড়াশোনা শুরু করে দুই-একমাসের প্রস্তুতিতে তাকে আবার নতুন করে পরীক্ষা দিতে হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের ধারাবাহিকভাবে শিক্ষার্থীবিরোধী সিদ্ধান্তের যে বহিঃপ্রকাশ, তা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের প্রতি এক ধরণের তামাশা।’

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে ধিক্কার জানিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি সঞ্জিত চন্দ্র দাস বলেন, এই ডিজিটাল যুগে এসে দশ, এগারো মাস আপনারা কি করেন? আপনারা যখন প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে জান, তখনতো দুই এক মাসের মধ্যে রেজাল্ট প্রকাশ করেন। তাহলে কেনো আপনারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের সাথে এরকম পক্ষপাত ও বিমাতাসুলভ আচরণ করেন।