ঢাবিতে পলিথিন টানিয়ে শিক্ষার্থীদের অনশন

নিজস্ব প্রতিবেদক:পলিথিন টানিয়ে শিক্ষার্থীদের অনশন অনিয়মের অভিযোগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন বাতিল করে পুনর্নির্বাচনের জন্য পুনঃতফসিলের দাবিতে ছয় শিক্ষার্থীর অনশন আজও চলছে। বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) বিকেল পৌনে ৫টায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত এখনও তারা অনশনে আছেন। অনশন শুরুর ৪৮ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে কোনও পদক্ষেপের আভাস পাওয়া যায়নি।

মঙ্গলবার (১২ মার্চ) সন্ধ্যা ৬ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু মুর্তির পাদদেশে এ শিক্ষার্থীরা অনশন শুরু করেন। ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনের পুনঃতফসিল ঘোষণার আগে ১১ মার্চের নির্বাচনের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের পদত্যাগের দাবিও জানাচ্ছেন তারা৷এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর গোলাম রব্বানী বলেছেন, ‘তারা বসতে চেয়েছেন কিন্তু তার সহকর্মীরা জানিয়েছেন, অনশনকারীরা বসতে চায় না। যদিও অনশনকারীরা বলছেন, এমন কোনও ঘটনা ঘটেনি। আমরা এর কিছুই জানি না।’
রোকেয়া হলেও অনশন

রোকেয়া হলে শিক্ষার্থীদের অনশনএদিকে নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ এনে পুনর্নির্বাচন, হল প্রভোস্টের পদত্যাগ, মামলা প্রত্যাহার ও আন্দোলনকারীদের নিরাপত্তার দাবিতে আমরণ অনশন শুরু করেছেন রোকেয়া হলের ছয় ছাত্রী। এর মধ্যে ডাকসু ও হলের চারজন প্রার্থী রয়েছেন। রাজু ভাস্কর্যে ছয় শিক্ষার্থী ও রোকেয়া হলের ছয় ছাত্রীসহ মোট ১২জন শিক্ষার্থী অনশন পালন করছেন।

তাদের অনশনের বিষয়ে প্রক্টর গোলাম রব্বানী বলেন, ‘গতকাল (বুধবার, ১৩ মার্চ) বেলা ১১টায় তাদের সঙ্গে আমাদের বসার কথা ছিল, এটা আগেই নির্ধারিত হয়েছিল। তাদের (শিক্ষার্থী) পক্ষ থেকে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগও করা হয়নি। আমরা যোগাযোগ করেছি, হয়তো তারা বসবে না। তারা বসবে না এটা আমার সহকর্মী জানিয়েছেন। এখন তাদের জিজ্ঞেস করেন তারা কেন বসছে না।

তবে ভিন্ন কথা বলছেন অনশনকারী ভূতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষার্থী আল মাহমুদ তাহা। তিনি বলেন, ‘প্রশাসনের দায়িত্বশীল কারও সঙ্গে আমাদের কোনও কথা হয়নি। প্রথমদিন এসেছিলেন তারা, আমরা কয়জন আছি সেটা দেখতে। পরে যখন আমরা দুজন অনশনকারী বেড়ে গেছি, তারপরও ওনারা আসছেন শুধু দেখতে। আমাদের কিছু বলেন নাই বরং এখানে যারা বিক্ষোভ করছিল তারা স্যারদের কাছে গিয়ে বলেছে- এখানে ৬টা ছেলে মারা যাচ্ছে, আপনারা কী করছেন? তারা কোনও কথাই বলেননি।’
দুইদিন শিক্ষার্থীরা আমরণ অনশনে থাকার পরেও প্রশাসনের টনক না নড়া প্রসঙ্গে ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক কাজী মারুফুল ইসলাম বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের দাবি থাকতেই পারে। তাদের দাবিতে সাড়া দেওয়া না দেওয়া পরের কথা কিন্তু তাদের কথা তো শুনতে হবে। ওরা তো আমাদের ছেলে-মেয়ে। তাদের কথা শোনা তো আমাদের দায়িত্ব।