ডাকসু নেতারা তাদের কক্ষের চাবি বুঝে নিয়েছেন

নিউজ ডেস্ক:দীর্ঘ ২৮ বছর পর ভিপি ও জিএস পেয়েছে ডাকসু। এ দিকে ডাকসু ভবনের ভিপি রুমের চাবি নিয়েছেন নব নির্বাচিত ভিপি নুরুল হক নুর।

এ ছাড়া জিএস গোলাম রাব্বানী ও এসজিএস সাদ্দাম হোসাইনসহ ডাকসু নেতারা তাদের কক্ষের চাবি বুঝে নিয়েছেন।

সূত্র জানা যায়, গত বৃহস্পতিবারই নবনির্বাচিত ডাকসু ভিপি নুরুল হক নুরসহ ডাকসু’র নেতারা ডাকসু ভবনের নিজ কক্ষের চাবি বুঝে নিয়েছেন।
দীর্ঘদিন অচলাবস্থায় পড়ে থাকা কক্ষগুলো রঙচঙ দিয়ে ঝকঝকে তকতকে করলেও এখনও বসার চেয়ার-টেবিল বসানো হয়নি। শুধু নথিপত্র রাখার জন্য আলমারি আনা হয়েছে। সেগুলো রাখা হয়েছে ভিপি-জিএসের কক্ষেই।

গত বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) সন্ধ্যায় ডাকসু’র ভিপি নুরুল হক নুর, জিএস গোলাম রাব্বানী ও এজিএস সাদ্দাম হোসাইনসহ সম্পাদক পরিষদের নির্বাচিত নেতারা ডাকসু ভবনে আসেন এবং কক্ষগুলো ঘুরে দেখেন। পরে নিজ কক্ষগুলোর চাবি বুঝে নেন তারা।
এ ছাড়া আগামী সোমবার (১৮ মার্চ) সকালে মিস্ত্রী এনে নিজের পছন্দ মতো কক্ষগুলো তৈরি করে নেবেন বলেও জানা গেছে।

প্রসঙ্গত, গত ১১ মার্চ অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ডাকসুর ২৫ পদের মধ্যে ২৩ পদে জয়ী হন ছাত্রলীগের নেতারা। সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের প্যানেল থেকে নির্বাচিত হন কেবল নুর ও আকতার।

এ দিকে ভিপি নির্বাচিত হওয়ার পর আজ শনিবার প্রধানমন্ত্রীর সাথে দেখা করতে যান নুরসহ সকল নির্বাচিত নেতারা।

গণভবনে গিয়ে নুরুল হক নুর বলেছেন, ছোটবেলায় আমি মাকে হারিয়েছি। আপনার (প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা) মাঝে আমি আমার মায়ের প্রতিচ্ছবি খুঁজে পাই।

ডাকসু ভিপির বক্তব্য দেয়ার পর আমন্ত্রিত নেতাদের উদ্দেশে বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী। এর আগে বক্তব্য রাখেন ডাকসু সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী। এ ছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৮টি হল ছাত্র সংসদের সহ-সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকরাও বক্তব্য রাখেন।

ডাকসু নির্বাচন প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ডাকসু নির্বাচন যেন শান্তিপূর্ণ হয়, এটা সবসময় বলেছি। ছাত্রছাত্রীরা যা চাইবে, তাই হবে। ভোট কে কত পেল, সেটা বড় নয়। যারা জয়লাভ করেছে সবার কিন্তু এই বিবেচনা রাখতে হবে কে ভোট দিল কে দিল না সেটা বিষয় নয়।

নির্বাচনে ভিপি পদে হেরে যাওয়া শোভনের ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভোটে হারার পর শোভন আমার কাছে এসেছে। আমি শোভনকে বলেছি, ভোটে হেরেছ, এবার যাও তাকে (নুর) অভিনন্দন জানাও। সে তাই করেছে। আমি এজন্য শোভনকে ধন্যবাদ জানাই। সে রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান। তার দাদা এমপি ছিলেন, বাবা উপজেলা চেয়ারম্যান। সে তার রাজনৈতিক উদারতা দেখিয়েছে।