জিনিসপত্রের দাম কমানোর ও ত্রাণ চোরের শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ

বরিশাল সংবাদদাতা : নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি রোধ ও ত্রাণ চোরদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে বরিশালে মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

রোববার (১৮ এপ্রিল) দুপুরে নগরীর সদর রোড টাউন হলের সামনে বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ) বরিশাল জেলা শাখার উদ্যোগে এ কর্মসূচি পালন করা হয়। এ সময় সরকারের কাছে বিভিন্ন দাবি জানানো হয়।

দাবিগুলো হলো- চাল, ডাল, তেল, আলু, পেঁয়াজ, লবণসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি রোধ, ত্রাণ চোরদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেয়া, ওয়ার্ডভিত্তিক তালিকা করে প্রত্যেক পরিবারকে প্রয়োজন অনুযায়ী সাপ্তাহিক ত্রাণ সরবরাহ করা, বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি, রাজনৈতিক, সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনসমূহকে যুক্ত করে করোনাভাইরাসের সংকটময় পরিস্থিতি মোকাবিলার উদ্যোগ নেয়া, বরিশালে ১০০০ শয্যার করোনা হাসপাতাল চালু, করোনা ইউনিটে আইসিইউ চালু এবং ২০০ ভেন্টিলেটর স্থাপন, করোনা ল্যাবে প্রতিদিন অন্তত ১০০ টেস্টের ব্যবস্থা করা, চিকিৎসকসহ স্বাস্থ্যকর্মীদের পর্যাপ্ত পিপিই এবং আবাসন, পরিবহন সুবিধা নিশ্চিত করা, স্বাস্থ্যকর্মী, পুলিশ, সাংবাদিক, পরিচ্ছন্নতা কর্মীসহ করোনা দুর্যোগ মোকাবিলার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবার ঝুঁকিভাতা নিশ্চিত করা, সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এই বছরের ফি মওকুফ করা, প্রতি মণ ১২০০ টাকা দরে সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে ধান ক্রয় করা এবং সব কৃষি ঋণ মওকুফ করা, বকেয়া বেতনসহ স প্রতিষ্ঠানের শ্রমিক, কর্মচারী-কর্মকর্তাদের মাসের ৫ তারিখের মধ্যে বেতন পরিশোধ করা, পাড়া-মহল্লায় জীবাণুনাশক ও মশার ওষুধ স্প্রে করা ও স্বাস্থ্যকর্মী টিম তৈরি করে ‘করোনা স্ক্রিনিং’ কার্যক্রম শুরু করা।

বাসদের বরিশাল জেলা শাখার আহ্বায়ক ইমরান হাবিব রুমনের সভাপতিত্বে এবং সদস্য সচিব ডা. মনীষা চক্রবর্তীর সঞ্চালনায় এতে বক্তব্য রাখে- বাসদের সদস্য সন্তু মিত্র, সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্টের সাংগঠনিক সম্পাদক শহীদুল ইসলাম ও ছাত্র ফ্রন্টের মহানগরের সাংগঠনিক সম্পাদক সুজন আহমেদ।

ইমরান হাবিব রুমন বলে, প্রতিদিনই চাল, ডাল ও তেলসহ প্রায় সব নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। এক সপ্তাহে পাইকারি বাজারে মোটা চালের দাম বেড়েছে কেজিতে ছয় টাকা, ডালে ১৪ টাকা, পেঁয়াজ ২৫ টাকা, তেল ১০ টাকা ও লবণে চার টাকা। প্রশাসনকে জানানোর পরও বাজার নিয়ন্ত্রণে কোনো উদ্যোগ নেয়নি। আবার অপর্যাপ্ত ত্রাণ প্রদানেও স্বজনপ্রীতি এবং দলীয়করণ করা হয়। অবিলম্বে করোনা দুর্যোগ মোকাবিলায় সর্বদলীয় সমন্বয় কমিটি গঠনের দাবি জানাই।

মনীষা চক্রবর্তী বলেছে, আমরা দীর্ঘদিন থেকে এই দুর্যোগ মোকাবিলার জন্য শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালকে আধুনিকীকরণের কথা বলেছি। প্রতিদিনই করোনা রোগীদের সংখ্যা বাড়ছে। তাই বরিশালে ১০০০ শয্যার বিশেষায়িত করোনা হাসপাতাল চালু করেই এই সংকট মোকাবিলার পাশাপাশি করোনা ইউনিটে আইসিইউ এবং ২০০ ভেন্টিলেটর স্থাপন করার জরুরি। এলাকায় এলাকায় জ্বর, সর্দি-কাশির রোগী বা কারো সন্দেহ হলেই যেন নমুনা পরীক্ষা করতে পারে তাই প্রতিদিন অন্তত ১০০০ টেস্টের ব্যবস্থা করা দরকার। এলাকায় এলাকায় স্বেচ্ছাসেবক টিম করে তাদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা দরকার। অবিলম্বে বাজার নিয়ন্ত্রণসহ এব দাবি বাস্তবায়নের আহ্বান জানাই।