জরিপ: সরকারের ব্যর্থতার শীর্ষে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি

নিজস্ব প্রতিবেদক: আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকারের চলতি মেয়াদের প্রথম এক বছরে ব্যর্থতার শীর্ষে রয়েছে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি। ‘রিসার্চ ইন্টারন্যাশনাল’ নামের একটি বেসরকারি সংস্থার জরিপে এমন তথ্য উঠে এসেছে। ‘আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকারের প্রথম এক বছরের কার্যক্রম’ শীর্ষক এক জরিপের প্রতিবেদন রোববার জাতীয় প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে প্রকাশ করা হয়।

দেশব্যাপী দৈবচয়ন পদ্ধতিতে মোবাইল কলের মাধ্যমে করা এ জরিপে অংশ নেন ২ হাজার ২৬৬ জন। যদিও মোবাইল কল করা হয় ৮ হাজার ৩৯ জনকে। এর মধ্যে কল ধরেন ৫ হাজার ৪২৯ জন। যারা কল ধরেন তাদের মধ্যে ৪১ দশমিক ৭ শতাংশ মতামত দেন।

জরিপে অংশ নেয়া ৮৫ শতাংশই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার পরিচালনায় সন্তোষ প্রকাশ করেন। আর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ওপর আস্থাশীল ৮৬ শতাংশ মানুষ। অন্যদিকে বিএনপির কার্যক্রমে সন্তুষ্ট প্রকাশ করেন মাত্র ৬ শতাংশ এবং ২৫ শতাংশ অসন্তুষ্ট প্রকাশ করেন।

জরিপে অংশগ্রহণকারীদের কাছে সরকারের প্রথম বছরের সাফল্যের বিষয়গুলো জানতে চাইলে ২১ শতাংশ পদ্মা সেতু নির্মাণে অগ্রগতির কথা বলেন। সরকারের সাফল্যের দিক থেকে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। জরিপে অংশ নেয়া ১৪ শতাংশ দুদককে সরকারের সাফল্য হিসেবে উল্লেখ করেন।

এছাড়া সরকারের শীর্ষ সাফল্যের বিষয়গুলোর মধ্যে- যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন, শিক্ষার প্রসার, মাদক নিয়ন্ত্রণ, অবকাঠামোর সার্বিক উন্নয়ন এবং ডিজিটাল বাংলাদেশ’র কথা উঠে এসেছে জরিপ প্রতিবেদনে।

জরিপে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ১৩ শতাংশ যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন, ১০ দশমিক ৬০ শতাংশ শিক্ষার প্রসার, ১০ দশমিক ৪০ শতাংশ মাদক নিয়ন্ত্রণ, ১০ শতাংশ অবকাঠামোর সার্বিক উন্নয়ন, ৮ শতাংশ ডিজিটাল বাংলাদেশ এবং ১৩ শতাংশ অন্যান্য বিষয়কে সরকারের সাফল্য হিসেবে উল্লেখ করেছেন।

অপরদিকে সরকারের প্রথম বছরের ব্যর্থতার বিষয়ে জানতে চাইলে জরিপে অংশগ্রহণকারীরা সবার ওপরে রাখেন দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধিকে। জরিপে অংশ নেয়া ৩২ দশমিক ৮০ শতাংশই দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধিকে সরকারের ব্যর্থতা হিসেবে উল্লেখ করেন। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে বেকারত্ব বৃদ্ধি। জরিপে অংশ নেয়া ১৬ দশমিক ৯০ শতাংশই বেকারত্ব বৃদ্ধিকে সরকারের ব্যর্থতা হিসেবে উল্লেখ করেছেন।

এছাড়া জরিপে অংশ নেয়া ১২ দশমিক ৬০ শতাংশ পেঁয়াজ সংকট, ৮ দশমিক ৭০ শতাংশ আইন-শৃঙ্খলার অবনতি, ৬ দশমিক ৬০ শতাংশ রোহিঙ্গা সমস্যা, ৫ দশমিক ৫০ শতাংশ সুশাসনের অভাস, ৪ দশমিক ৬০ শতাংশ সড়ক দুর্ঘটনা বৃদ্ধি, ৩ দশমিক ৯০ শতাংশ যানজট সংকট, ১ দশমিক ৭০ শতাংশ পরীক্ষা অব্যবস্থাপনা, ১ দশমিক ২০ শতাংশ ধর্ষণ প্রতিরোধে ব্যর্থতা, ১ দশমিক ২০ যোগাযোগ ব্যবস্থার অবনতি, ১ শতাংশ ভিন্নমত দমন এবং ৩ দশমিক ৪০ শতাংশ অন্যান্য বিষয়কে সরকারের ব্যর্থতা হিসেবে উল্লেখ করেন।