জমি পতিত রাখলে ‘খাস’ -উদ্যোগ আসছে মন্ত্রণালয়ের

নিজস্ব প্রতিবেদক: ‘আবাদি জমি পতিত রাখা যাবে না’ এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে উদ্যোগ নিতে যাচ্ছে ভূমি মন্ত্রণালয়। এ বিষয়ে মানুষকে উদ্বুদ্ধ করাসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়া হবে বলে মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে।

এ বিষয়ে কী উদ্যোগ আছে এ বিষয়ে ভূমি সচিব মাকছুদুর রহমান পাটওয়ারী বলেন, কেউ যদি দীর্ঘদিন কোনো জমি চাষাবাদ না করে পতিত রাখেন তবে ১৯৫০ সালের রাষ্ট্রীয় অধিগ্রহণ ও প্রজাস্বত্ব আইনে এ বিষয়ে ধারা আছে। আইন অনুযায়ী দীর্ঘ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে সেই জমি সরকার খাস হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করতে পারে। জেলা প্রশাসক সেটা করেন। তবে আমরা এখন সেদিকে যাচ্ছি না।

তিনি বলেন, আমরা সবাইকে উদ্বুদ্ধ করতে চাচ্ছি কেউ যাতে তাদের জমি অকর্ষিত না রাখেন। কেউ যদি তার নিজের জমি চাষ না করেন তবে তিনি অন্যকে বর্গা দিক বা অন্য কোনো উপায় অবলম্বন করুক যাতে জমিতে চাষবাদ হয়।
ভূমি সচিব বলেন, আমাদের মহামূল্যবান কৃষি জমি এভাবে পড়ে থাকুক, এটা আমরা চাই না। জাতির খাদ্য নিরাপত্তার জন্যই পতিত জমি চাষ করা প্রয়োজন। সেই বিষয়ে আমরা মানুষকে উদ্বুদ্ধ করতে চাচ্ছি।

তিনি আরও বলেন, আমার জমি আছে, আমি তো ঢাকায় চাকরি করি, তাই বলে তো আমার জমি পড়ে নেই, সেখানে চাষাবাদ হচ্ছে।
মাকছুদুর রহমান পাটওয়ারী বলেন, আমাদের কথা হচ্ছে, যে পদ্ধতি তার জন্য বাস্তবসম্মত হয় সেভাবেই সে তার জমি চাষাবাদ করুক। দীর্ঘদিন চাষাবাদ না করলে জমি খাস করে নেয়া একটা দীর্ঘ আইনগত জটিল পদ্ধতি। আমরা ওইভাবে কাউকে বাধ্য করতে চাই না। আমরা স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, বড় বড় জমির মালিক তাদেরকে বলব। অনেক জমির মালিক আছেন যারা বিদেশে থাকেন, তারা যাতে জমিগুলো চাষাবাদের ব্যবস্থা করেন।

দীর্ঘদিন জমি পতিত রাখলে তা খাস হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করার যে আইন আছে, সেটি বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করা হবে কিনা- এ বিষয়ে সচিব বলেন, এ বিষয়টি আমরা এখনও সেভাবে ভাবিনি। আইনে যেহেতু আছে সেটা তো আপনার বাস্তবায়ন করতেই পারি। সেটা দীর্ঘমেয়াদি প্রক্রিয়া, তবে আইনই শেষ কথা না। তিনি বলেন, পতিত জমি চাষাবাদ করলে যার জমি তার লাভ, আলটিমেটলি দেশের লাভ।