চীনের গোপন জীবাণু যুদ্ধাস্ত্র গবেষণাগার থেকে ছড়িয়েছে করোনাভাইরাস!

ব্রিটেনে করেনায় আক্রান্ত হতে পারে ৮০%

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: সোমবার চাঞ্চল্যকর এই দাবি করে ইসরাইলের সামরিক গোয়েন্দা বাহিনীর সাবেক এক কর্মকর্তা বলেছে, প্রাণঘাতী চীনা করোনাভাইরাস বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে উহানের গোপন ওই জীবাণু গবেষণাগারের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে। ইসরাইলি সামরিক ওই সাবেক কর্মকর্তার চাঞ্চল্যকর এই দাবির তথ্য দিয়ে খবর প্রকাশ করেছে মার্কিন দৈনিক ওয়াশিংটন টাইমস ।

ইসরাইলি সাবেক সামরিক গোয়েন্দা কর্মকর্তা ড্যানি শোহাম চীনের জীবাণু যুদ্ধাস্ত্র নিয়ে অধ্যাপনা করেছে। ইসরাইলি সাবেক এই গোয়েন্দা ১৯৭০ থেকে ১৯৯১ সাল পর্যন্ত মধ্যপ্রাচ্য এবং বিশ্বজুড়ে ইসরাইলের সামরিক গোয়েন্দা শাখার জীবাণু এবং রাসায়নিক অস্ত্রের জ্যেষ্ঠ বিশ্লেষক হিসেবে কাজ করেছে।

ড্যানি শোহাম আরও বলেছে, চীনের গোপন জীবানু অস্ত্র কর্মসূচির সঙ্গে উহান ইনস্টিটিউট অব ভাইরোলজির সংশ্লিষ্টতা রয়েছে। এই ইনস্টিটিউটের কিছু ল্যাবরেটরিতে চীনের নতুন নতুন জীবাণু অস্ত্র তৈরি এবং এসব অস্ত্র নিয়ে গোপনে গবেষণা করা হয়।

এক ই-মেইল বার্তায় ওয়াশিংটন টাইমসকে ড্যানি শোহাম বলেছে, সামরিক-বেসামরিক গবেষণার অংশ হিসাবে অত্যন্ত গোপনীয়তার সঙ্গে জীবাণু অস্ত্রের ওপর সেখানে কাজ পরিচালিত হয়। মেডিক্যাল মাইক্রোবায়োলজিতে ডক্টরেট করেছে ইসরাইলি সাবেক এই সামরিক কর্মকর্তা।

এর আগে ২০১৫ সালে উহান সংবাদমাধ্যমে একটি প্রতিবেদন গত সপ্তাহে প্রচার করেছে রেডিও ফ্রি এশিয়া। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, চীনের ভাইরাস গবেষণাগার উহানে রয়েছে। যা উহান ইনস্টিটিউট অব ভাইরোলজি নামে পরিচিত। চীন ঘোষণা দিয়ে প্রাণঘাতী সব ভাইরাসের গবেষণা একমাত্র এই গবেষণাগারেই করে।

যদিও কোনও ধরনের গোপন জীবাণু অস্ত্র গবেষণাগার থাকার অভিযোগ দীর্ঘদিন ধরে প্রত্যাখ্যান করে আসছিলো চীন। কিন্তু গত বছর মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের চীনের গোপন জীবাণু যুদ্ধাস্ত্র গবেষণাগারে গবেষণা চলছে বলে জানায়। এ ব্যাপারে মন্তব্য জানতে ই-মেইলে যোগাযোগ করা হলে যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত চীনা দূতাবাসের এক কর্মকর্তা কোনও জবাব দেয়নি।

চীনা কর্তৃপক্ষ বলছে, তারা এই করোনাভাইরাসের উৎপত্তি কোথায় থেকে হয়েছে সেব্যাপারে এখনও পরিষ্কারভাবে জানতে পারেনি। চীনে এই ভাইরাসে ৮১ জনের প্রাণহানি ঘটেছে।